loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিল্পকলায় তিনদিনব্যাপী ‘লালন স্মরণোৎসব’

  • দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের নাম ঘোষণা; ঢাকায় কোচ ফিল সিমন্স

  • দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা

  • আদমজী ইপিজেড-এ ৫.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

  • বলিভিয়াকে আর্জেন্টিনার ছয় গোল; জিতেছে ব্রাজিলও

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ১২ বছর পরে ইউরোপ-সেরা স্পেন


ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ১২ বছর পরে ইউরোপ-সেরা স্পেন

স্পেনের পুরুষ ফুটবল দল ইংল্যান্ডের ৫৮ বছরের শিরোপার অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত করলো। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্পেন রোববার (১৪ জুলাই) ২-১ গোলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে ১২ বছর পরে আবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো। এদিন স্পেনের নিকো উলিয়ামস ও মিকেল ওইয়ারসাবালের গোলের মাঝে ইংল্যান্ডের একমাত্র গোলটা এসেছে কোল পাল্মারের কাছ থেকে। স্প্যানিশ দল চতুর্থবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন হলো। চারবার মহাদেশিয় সেরা হওয়ার কীর্তি নেই ইউরোপের আর কোনো দেশেরই।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে মনে হয়েছে – দুই দলই ম্যাচ টাইব্রেকারে নিতে যেতে খেলছে। স্পেনের বলের দখল ৭০ ভাগ, কিন্তু গোলের দিকে শট মাত্র একটা। ইংল্যান্ডের বলের দখল ৩০ ভাগ, তাঁদেরও শট একটা; তবে কোনোটাই ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড বা স্পেনের উনাই সিমনকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। প্রথমার্ধে স্পেনের ‘বিস্ময়বালক’ লামিন ইয়ামাল বিস্ময়করভাবে বিবর্ণ ছিলেন।

বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়াম ইংলিশ সমর্থকদের দখলে ছিল; সংখ্যায় যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশি আওয়াজে। গ্যালারির কােলাহলের সঙ্গে অবশ্য ইংল্যান্ডের সূচনার খুব একটা মিল ছিল-না। গ্যারেথ সাউথগেটের দল খানিকটা ঢিমেতালে শুরু করেছে। শুরুর মিনিট দশেক স্পেনের দখলে ছিল বল। অবশ্য তাঁরাও পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে।

ইংল্যান্ডের খেলায় কিছুটা গতি আসে মিনিট দশেক পরে। তখন ‘থ্রি লায়ন্স’ প্রতি-আক্রমণে গিয়েছে বেশ কয়েকবার।

স্পেন দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আক্রমণ শুরু করে। লুক শ প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ইয়ামালকে চোখে-চোখে রেখেছিলেন। যাহােক, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটুর জন্য চোখের আড়াল করতেই ইয়ামাল সেই সুযোগটা কাজে লাগান। দুই মিনিটের মধ্যে তাঁর দুর্দান্ত পাস থেকে নিকো উইলিয়ামসের গোলে স্পেন এগিয়ে যায় (১-০)। সেটা ২-০ হয়ে যেতে পারতো আর দুই মিনিট পরেই, যদিও হয়নি।

হ্যারি কেইন ৬০ মিনিটে কাইল ওয়াকারের হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক ওলি ওয়াটকিন্স।

এদিন ইংল্যান্ডের সমতা ফেরানো গোলটা এক বদলি খেলোয়াড়ই করেছেন – কোল পাল্মার। ৭৩ মিনিটে বুকায়ো সাকা বল দেন বক্সে থাকা জুড বেলিংহামের দিকে, বল পেয়েই বেলিংহাম দেন পেছনে থাকা পাল্মার দিকে, তাঁর দুর্দান্ত শট আটকাতে পারেননি উনাই সিমন (১-১)।

অধিনায়ক আলভারো মোরাতার বদলি নামা মিকেল ওইয়ারসাবাল ৮৬ মিনিটে মার্ক কুকুরেয়ার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে নেওয়া এক প্লেসিং শটে স্তব্ধ করে দেন ইংলিশ সমর্থকদের (২-১)।

ইংল্যান্ড আবার ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ দিকে। পাল্মারের কর্নার থেকে আসা বলে ডেক্লান রাইসের হেড ফিরিয়ে দেন সিমন, ফিরতি বলে হেড করেন মার্ক গুয়েহি, এবার একেবারে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন দানি ওল্মো; বেঁচে যায় স্পেন।

Loading...