loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিল্পকলায় তিনদিনব্যাপী ‘লালন স্মরণোৎসব’

  • দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের নাম ঘোষণা; ঢাকায় কোচ ফিল সিমন্স

  • দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা

  • আদমজী ইপিজেড-এ ৫.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

  • বলিভিয়াকে আর্জেন্টিনার ছয় গোল; জিতেছে ব্রাজিলও

স্মরণীয় বিশ্বকাপের আশায় টাইগ্রেসরা


স্মরণীয় বিশ্বকাপের আশায় টাইগ্রেসরা

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মাঠে নামছে ঠিকই, তবে সেটি শের-ই-বাংলায় নয়, কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গত অগাস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইসিসি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপটাকে সরিয়ে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অবশ্য আয়োজকস্বত্ব হারায়নি বাংলাদেশ, তবে ‘স্বাগতিক’ শব্দটার বদলে এখন ‘আয়োজক’ শব্দটাই বেশি জুতসই বাংলাদেশের জন্য। বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ২০ অক্টোবর দুবাইয়ে।

স্বাগতিক থেকে শুধুই আয়োজক হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নারীরা মাঠ নামবেন ইতিহাস বদলানোর স্বপ্ন নিয়ে। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জয়ই হয়ে আছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বশেষ সুখস্মৃতি। এরপর খেলা চার বিশ্বকাপে টানা ১৬টি ম্যাচে শুধু পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে টাইগ্রেসদের।

বাংলাদেশ দল এবারের বিশ্বকাপে দারুণ কিছুর স্বপ্নই দেখছে। জ্যোতিবাহিনী উদ্বোধনী ম্যাচেই দারুণ কিছু করে দেখাতে চায়, যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায়। এরপর এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইতিহাসের হাতছানি রয়েছে বাংলাদেশে দলের সামনে। কেননা, ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। সেই আসরে দুই জয় পেলেও এরপর খেলা চার বিশ্বকাপে টানা ১৬টি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি টাইগ্রেসরা। জ্যোতির দল তাই প্রথম জয়ের খোঁজে রয়েছে।

বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে, যেখানে তাঁদের বাকি প্রতিপক্ষ সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন – ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দল। 

তবে সাহস রাখছেন জ্যোতি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বুধবার অধিনায়কের কণ্ঠে ছিল ইতিহাস বদলানোর প্রত্যয়, ‘২০১৪ সাল ছাড়া বিশ্বকাপে তো আমাদের বলার মতো কিছু নেই। তাই এই বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই এমন কিছু করতে – যাতে এই বিশ্বকাপটার কথা মনে থাকে।’

শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পরে দল নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে জ্যোতির, ‘স্কটল্যান্ডকে হারিয়েই শুরু করতে চাই। সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে সবাই খেলেছে, সবার মধ্যে ম্যাচ জয়ের যে-ক্ষুধা দেখেছি, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো খেলেছে সবাই। তাই বলবো, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে আমরা প্রস্তুত।’

জ্যোতি ২০১৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। নয় বছর পরে শততম ম্যাচ খেলবেন। তিনি দারুণ কিছু করেই উপলক্ষ্যটা রাঙাতে চান তিনি, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে-না ১০০তম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। মনে হয়, এই তো শুরু করলাম! সবচেয়ে বেশি খুশি হবো – ১০০তম ম্যাচে ভালো কিছু করে যদি দলের জয়ে অবদান রাখতে পারি।’

এই বাঁহাতি স্পিনার একটি উইকেট পেলেই এই সংস্করণে ১০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলবেন!

Loading...