এ-বছর রাজধানীতে ২৫৭টি মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (বিপিইউপি) জানায়, আগামী ৯ অক্টোবর, বুধবার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। উদ্বোধনী দিনটিকে ‘মহাষষ্ঠী’ বলা হয়, যা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, কল্পরাম্ভ, অধিবাস এবং আবাহন (আহ্বান) দিয়ে প্রদর্শন করা হবে। ১৩ অক্টোবর (রোববার) বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসব।
রাজধানী ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, বনানী, কলাবাগান, শাখারী বাজার, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ফার্মগেটের খামার বাড়ি এবং পুরান ঢাকার শাখারী বাজার ও তাঁতী বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন অংশে মণ্ডপগুলোতে পূজা হবে।
রাজধানীর মন্দির ও অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের জোর প্রস্তুতি। কারিগররা প্রতিমার চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের প্রধান প্রধান বাজার এবং শপিং মলগুলোতে চলছে পূজার কেনাকাটা। গত শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর বড় বড় বিপণিবিতান, শপিং মল ও দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের ঐতিহ্যবাহী দোকানগুলোও পূজার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে শঙ্খের খোল, প্রতিমার কাপড়, ঘণ্টা, হাঁড়ি, মাটির প্রদীপ, আগরবাতি বা ধূপকাঠি , দেবতার মালা, মুকুট, শাড়ি, ধুতি, পাঞ্জাবি ও অন্যান্য অলঙ্কার বিক্রি চলছে পুরোদমে।
দুর্গাপূজা উদযাপনকালে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে কেন্দ্রীয় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।