বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইটা তেমনভাবে করতে পারলো-না। প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়রে সাত উইকেটে পরাজিত হওয়ায় নাজমুল হোসেন শান্তদের সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো। কিন্তু এমন এক ম্যাচে টাইগাররা ব্যাটে-বলে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেলো। সফরকারী দল ৮৬ রানের এই হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে। ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ভারত প্রথম ছয় ওভারে ৪৫ রান করতেই দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায়।
অবশ্য পাওয়ার প্লের পরই ভারতকে ছন্দে ফেরান নীতীশ কুমার ও রিংকু সিং। দলটি চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১০৮ রানের জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে যায়। তিন চার এবং সাত ছক্কায় ৭৪ রান করেন নীতীশ। ৫৩ রান আসে রিংকুর ব্যাটে। তাঁদের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩২ রানে রানপাহাড়ে চড়ে ভারত। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় নয় উইকেটে ২২১।
স্পিনার রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন। তাঁর সবকটি উইকেটই এসেছে বিংশ ওভারে। তিন পেসার – তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন দু’টি করে উইকেট।
টাইগাররা ২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আসা-যাওয়ার মিছিলে ১০০ রানের মধ্যেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে। নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। দলের অন্য ব্যাটারদের কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল পুরো ২০ ওভার ব্যাট করেও নয় উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি।
ভারতের সাত বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছেন। দু’টি করে উইকেট গেছে নীতীশ ও বরুণ চক্রবর্তীর ঝুলিতে।