রংপুর রাইডার্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উদ্বোধনী দিনে ঢাকা ক্যাপিটালসকে পরাজিত করেছিল। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে ফের মাঠে নামতে হয় তাঁদের; প্রতিপক্ষ সিলেট স্ট্রাইকার্স। যাহােক, নুরুল হাসান সোহানের দল টানা দুই দিন খেলেও জিতেছে। তাঁরা এবার সিলেটকে হারিয়েছে ৩৪ রানে।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সিলেটের সামনে লক্ষ্য খুব বড় ছিল-না (১৫৬ রান)। তবে এটি অতিক্রম করতেই নার্ভাস ছিল দলটি। তাঁদের ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে রনি তালুকদার ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ বলে চার চার এবং এক ছক্কায় ৪১ রান করলেও সিলেটের অন্যান্য ব্যাটাররা তাঁকে মোটেও সঙ্গ দিতে পারেননি। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরের দেখা পাওয়া জাকের আলী ২৪ রান করতেই খরচ করেছেন ৩৩ বল।
রংপুরের তরুণ পেসার নাহিদ রানা ২৭ রানে চারটি উইকেট শিকার করেন। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন – মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও খুশদিল শাহ।
এদিন রংপুর টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায়। পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৮ রানে দলটির টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। দুই ওপেনার স্টিভেন টেলর ১২ এবং অ্যালেক্স হেইল্স আট রান করেন। তিনে নামা সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে চার রান।
পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার আহমেদ চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হাল ধরেন। তিনি চতুর্থ উইকেটে স্বদেশী খুশদিল শাহর সঙ্গে ৪১ ও পরে পঞ্চম উইকেটে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন। ইফতিখার শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে চারটি চার এবং একটি ছকায় ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। চারটি চার এবং দুই ছক্কায় ৪১ রান আসে সোহানের ব্যাট থেকে। রংপুর তাঁদের ব্যাটে ভর করেই ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে।
সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট করে পেয়েছেন – তানজিম হাসান সাকিব ও আল-আমিন হোসেন।