loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

  • যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত অন্তত ১৮

  • বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

  • টেকসই কৃষি নিয়ে ১০ হাজার চর কৃষকের পাশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ফ্রেন্ডশিপ

  • কর্মবিরতি প্রত্যাহার, সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু

স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাত কলেজ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত


স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাত কলেজ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

দেশের সরকারি সাত কলেজের (ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ) প্রতিনিধিবৃন্দ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব) এবং তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সাত কলেজের পক্ষে তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন মঈনুল ইসলাম ও রহমতুল্লাহ (ঢাকা কলেজ) এবং  মৌ ( ইডেন মহিলা কলেজ)। বৈঠকে তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরশু রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে আমরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আমাদের প্রথম দাবি গতকাল মেনে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছি। বাকি পাঁচ দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘এ-বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে ডাকা হয়েছে। এখানে আমরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছি। আমাদের দাবিগুলো পজেটিভভাবে নেওয়া হয়েছে। সেটা বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেনে নেওয়া হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির প্রসঙ্গে মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল – ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। এখন থেকে তিনি ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের সংশ্লিষ্ট কোনো কমিটিতে থাকতে পারবেন-না। এছাড়াও তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আলাপ ও ওই দিন সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দাবি ছিল – ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে তিনদিন সময় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

তৃতীয় দাবি হলো – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

চতুর্থ দাবি ছিল – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল এ দাবি অধিভুক্তি বাতিল সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পঞ্চম দাবি ছিল – উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এই ঘটনার সমাধান করতে হবে।

ষষ্ঠ দাবি ছিল – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এদিন তাঁদের জানানো হয়েছে যে, ইতোমধ্যে রাস্তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

Loading...