loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি

  • বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সংশোধিত তালিকা প্রকাশিত

  • দ্বিতীয় টি-২০তেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টাইগ্রেসদের হার

  • আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

  • যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত অন্তত ১৮

আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব


আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গত জুলাই-অগাস্টের গণহত্যার বিচার না-হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে-না। তিনি একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে। এ-বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেবো-না। খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে, বাংলাদেশের জনগণ তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং তাঁদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁদেরকে রাজনীতি করতে হলে ক্লিন ইমেজ নিয়ে আসতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গণহত্যার জন্য কোনো নেতা বা কর্মী কি অনুতপ্ত? তাঁরা কি এজন্য কমা চেয়েছে? কি হত্যাযজ্ঞ হয়েছে আপনারা দেখেছেন – ৭১টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হেলিকপ্টার দিয়ে তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। একজনও এজন্য অনুতপ্ত বা ক্ষমা চেয়েছে? চায়নি।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ এসে বলেছে – হাসিনার এই কিলিং আমরা মানি-না? আমরা একটা ক্লিন ইমেজের লিডারশিপ চাই; একজনও কিন্তু বলেনি। বরং অনেকেই মিথ্যা কথা বলছে, গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

এর আগে এদিন বিকেলে শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস করে, তাহালে তাঁকে আইনের মুখোমুখী হতে হবে।

শফিকুল আলম ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ কি একদল খুনি এবং দুর্নীতিবাজ চক্রকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবে? কোনো দেশই জবাবদিহি ছাড়া স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অনুমতি দেয়-না। বাংলাদেশের জনগণ এই খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে, তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেবো-না।

মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছিল – এই প্রশ্ন রেখে প্রেস সচিব বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না-চাইবে এবং যতক্ষণ তাঁদের দলের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না-নেবে এবং যতক্ষণ আওয়ামী লীগ তাঁদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না-করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে-না।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

Loading...