ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে আক্রমণাত্বক ক্রিকেটের বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল। সেদিন তাঁরা টাইগ্রেসদের ১৪৪ রানের টার্গেট ১৯ বল ও আট উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছিল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল আবার ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডব দেখলো। স্বাগতিক দল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ২০১ রান। জবাবে, বাংলাদেশ নয় উইকেট খরচ করে ৯৫ রান করতে পেরেছে। ফলে, ১০৬ রানের পরাজয়ের সঙ্গে সিরিজটাও খোয়ালো বাংলাদেশ দল।
টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশ নারী দলের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়। টাইগ্রেসরা এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সিরিজের ১৩২ রানে হেরেছিল, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড নারী দলের।
বুধবার অবশ্য আরও একটি রেকর্ড হয়েছে; ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি করেছে। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ক্যারিবীয় নারীরা সেন্ট কিটসে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হর। কুইয়ানা জোসেফ ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখে যান। পরে ডিয়ান্ড্রা ডটিনও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। তিনি ২০ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে খেলেছেন ৪৯ রানের ইনিংস, যার সুবাদে দলটি ছয় উইকেটে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায় ।
বড় এই লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে দেখার ছিল – দলটি কতটুকু লড়াই করতে পারে। যাহােক, জ্যোতিবাহিনীর ব্যাটাররা রান-পাহাড়ে চাপা পড়েছে। শারমিন আক্তার সুপ্তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে।
টাইগ্রেসরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরে গেলো। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হবে।