ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও জোরদার করা হয়েছে। আইজিপি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তিনি বলেন, পুলিশ সকলের সহযোগিতায় যেকোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় সক্ষম। এ-সময় তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ইজতেমার উভয় পক্ষের আয়োজকরা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইজতেমা নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান, চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধ টিম এবং নৌ টহল থাকবে । রেলওয়ে স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ-প্রধান বলেন, ইজতেমা ময়দান সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ড্রোন এবং ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথসমূহে আর্চওয়ে স্থাপন এবং হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এবং র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ইজতেমাস্থলে ভিআইপিদের যাতায়াত এবং বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ের সময় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান এবং অন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ও তাবলীগের মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীতে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি এবং ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হবে।