ঘরোয়া লিগ শিরোপা হারানো বায়ার্ন মিউনিখ পৌঁছে গেছে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। বাভারিয়ান ক্লাবটি কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আর্সেনালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নের অগ্রগামিতা ৩-২ ব্যবধানে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় একমাত্র গোলটি করেন জসুয়া কিমিখ। তাঁর ৬৩ মিনিটে করা গোলই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়া এই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ৫৮ ম্যাচে ক্লিনশিটের রেকর্ড গড়েছেন। ৫৭ ক্লিনশিট নিয়ে এত দিন শীর্ষে ছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস।
মাত্র একটাই গোল হয়েছে ম্যাচে। ৬৩ মিনিটে জশুয়া কিমিখের সেই গোলেই দরকারি টিকিটটা নিশ্চিত করে ফেলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্ন দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। জার্মান দলটি এনিয়ে ত্রয়োদশবার ইউরোপিয় প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠলো।
সেমিফাইনালে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক সেমিফাইনালে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) খেলবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে।
গত সপ্তাহে লন্ডনে প্রথম লেগ ২-২ সমতায় শেষ করে আসাই বায়ার্নের জন্য জয়ের মতো ছিল। বিশেষ করে মিউনিখে আর্সেনালকে বড় ব্যবধানে হারানোর পূর্ব-অভিজ্ঞতার কারণে।আর্সেনাল ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বায়ার্নের মাঠে এসে পাঁচ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। অবশ্য এবার স্বল্প ব্যবধানই ছিল।
তবে, টমাস টুখেলের দলকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে স্বল্প ব্যবধান গড়তেই। শুরু থেকে আর্সেনাল রক্ষণে বেশি মনোযোগ দেওয়ায় বায়ার্ন প্রথম লক্ষ্যে শট রাখতে পেরেছে ২৪তম মিনিটে।
জামাল মুসিয়ালার দূর থেকে নেওয়া সেই শট অবশ্য আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া ঝাঁপিয়ে রুখে দেন। ৩১ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। মার্টিন ওডেগার্ডের কাছ থেকে পাওয়া বলে যে-শটটি তিনি নেন, সেটি সোজা চলে যায় ম্যানুয়েল নয়ার হাতে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে বিরতির পরপরই বায়ার্নের গোরেৎস্কার জোরালো হেড ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে রাফায়েল গেরেইরোর শট আর্সেনাল গোলরক্ষকের হাতের পর পোস্টে লাগে। তবে গোলের জন্য এরপর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বায়ার্নকে। ৬৪ মিনিটে গেরেইরোর দারুণভাবে বাড়িয়ে দেয়া বলে ছুটে গিয়ে হেডে জালে জড়ান কিমিখ। চলতি বছরে এটি তাঁর প্রথম গোল।
ম্যাচের বাকি সময়ে বায়ার্ন, আর্সেনাল কেউই আর গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১-০ ব্যবধানে দ্বিতীয় লেগ জিতেই সেমিফাইনালে উঠে যায় বায়ার্ন।
