loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

চলে গেলেন চিত্রনায়ক ফারুক


চলে গেলেন চিত্রনায়ক ফারুক

বীর মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র অভিনেতা, সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) আর নেই। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে পরিবার সূত্র। জানা গেছে, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় আনা হবে।

অভিনেতা ফারুক দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। পরীক্ষায় রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন পরে তাঁর মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ অগাস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকাই সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। প্রথম ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা কবরী। এরপর, ১৯৭৩ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

ফারুক ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে – ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি। 

পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে তাঁর অভিনীত অনেকগুলো ছবি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। তিনি ‘মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়া ভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান।

অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

Loading...