loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আর্সেনালকে বিদায় করে সেমিতে বায়ার্ন

  • ‘রাজকুমার’ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার ৭৫ থিয়েটারে

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

মিলানের স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার


মিলানের স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হওয়ায় এদিন গোল করার কোনো বিকল্প ছিল না এসি মিলানের সামনে। প্রথমার্ধে দারুণ দুটি সুযোগও এসেছিল; তবে, কাজে লাগাতে পারেননি সাতবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। ৭৪ মিনিটে দলটির হতাশা আরও বাড়িয়ে এগিয়ে যায় নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলান। সানসিরোয় মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লাউতারো মার্তিনেজের একমাত্র গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির ইন্টার। প্রথম লেগে দুই গােলে জেতা দলটি ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জায়গা করে নিলো শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।

ইন্টার ২০০৯-১০ মৌসুমের পরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো। ১৩ বছর আগে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতেছিল ইতালির ক্লাবটি। ইউরোপ-সেরা এই প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠবার ফাইনালে ওঠার পথে দলটি গড়লো সুখ-জাগানিয়া এক কীর্তি; দ্বিতীয়বারের মতো এক মৌসুমে চারবার পরাজিত করলো মিলানকে।

মিলানের শুরুটা এদিন যেমনটি দরকার ছিল, হয়েছে তেমনই। দলটি প্রথম থেকেই খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। পক্ষান্তরে, প্রথম লেগে নিজেদের কাজ অনেকটাই সেরে রাখা ইন্টারের মনোযোগ ছিল প্রতি-আক্রমণে।

মিলান পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের তীব্র শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। পাঁচ মিনিট পরে ফের বেঁচে যায় ইন্টার। অলিভিয়ে জিরু ক্রস ঠেকাতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ওনানা, ফাঁকা জালে বল পাঠিয়েই দিচ্ছিলেন ব্রাহিম দিয়াস; প্রায় গোললাইন থেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন মাত্তেও দারমিয়ান।

একাদশ মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দিয়াস। সান্দ্রো তোনালির কাটব্যাকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড; তবে, নিতে পারেননি জোরালো শট। ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইন্টার গোলরক্ষক।

২৫তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ আসে ইন্টারের সামনে। হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট প্রতিহত হওয়ার পর অন্যটি বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো মিলান। রাফায়েল লিয়াওয়ের নেওয়া বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় মিলান। হাঁকান কালহানোগ্লুর ফ্রি কিকে মার্টিনেজের হেডে বল মাইক মিয়ার হাত ছুঁয়ে মুখে বাধা পায়। ৪১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের তীব্র শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

মিলান দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও প্রতিপক্ষের উপর প্রবল চাপ ধরে রাখে। যাহােক, তাঁদের আক্রমণের ঝাপটা অনায়াসেই সামাল দিয়েছে ইন্টার, এবং ৭৪তম মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। প্রতি-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি মার্টিনেজ। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে তীব্র শটে জাল স্পর্শ করেন বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

ইন্টার গোল করে আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। শেষ দিকে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মিলান।

২০০৪-০৫ মৌসুমের পরে প্রথম ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে লড়াইয়ে নামা এসি মিলানের অপেক্ষা আরও বাড়লো। একইসঙ্গে হলো এক তিক্ত অভিজ্ঞতা; প্রথমবারের মতো ইন্টারের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো ক্লাবটি।

বুধবার (১৭ মে) অনুষ্ঠেয় রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে ইন্টার।

Loading...