loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী


আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৪ মে) বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার সমুন্নত রেখে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের দোহায় র‌্যাফেল্স হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরাম (কিউইএফ)-এ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক এক অধিবেশনে তিনি বলেন, “...সুতরাং, আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।” কিউইএফ-এর হোস্ট এবং এডিটর ইনচার্জ হাসলিন্দা আমিন অনুষ্ঠানস্থল জনাকীর্ণ হল রুমে এই অধিবেশন পরিচালনা করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং, আমি এখানে এসেছি আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে?’ তিনি বলেন, ‘জনগণই ঠিক করবে – কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতা দখল করার জন্য আসিনি। বরং, আমি জনগণের ক্ষমতায়ন করতে চাই, যাতে তাঁরা তাঁদের সরকার বেছে নিতে পারে।’

কিছু দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা কিভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ, তাঁদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সে-সময় (বিএনপি’র শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তাঁরা কখনই মানুষকে গণনায় ধরতো না। আমাদের জনগণের জন্য একদিনে একবেলা খাবার জোটানোই খুব কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাঁদের অবস্থা, বলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তাঁরা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। এখন, মানুষ বুঝতে পারে। তাঁরা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি থাকবো, বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, মি. ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তাঁরা এখন কি বলতে পারেন? তিনি বলেন, যাঁরাই (পর্যবেক্ষক) পাঠাতে চায়, তিনি ইতোমধ্যে সবাইকে বলেছেন, ‘যদি তাঁরা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, তবে তাঁরা পাঠাতে পারে।’

‘সুতরাং, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম’।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তাঁর প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু, অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না, কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়, তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তাঁরা সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি, যাঁর অর্থ, তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’

আইএমএফ ঋণ-সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, ক্ষমতায়ন আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যাঁরা তাঁদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে, তাঁরা যাঁদের ঋণ দিচ্ছে, তাঁরা তা ফেরত দিতে পারবে কি-না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’

হাসলিন্দা আমিন বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তাঁদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কি-না? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেবো, কেন নয়?’ এ-প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই যে, বাংলাদেশ অনুসরণ করে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে, দেশে-দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করবো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে, যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’

Loading...