৪৮ জন উচ্চ-শিক্ষার্থীকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ (পিএমএফ) প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৯ জুলাই) তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ৩৮ জনকে মাস্টার্স ও ১০ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য পিএমএফ প্রদান করেন। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এ-পর্যন্ত ২৭৭ জনকে মাস্টার্স এবং ১০৮ জন পিএইচডি ফেলোকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এই বৃত্তি পেতে হলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০’ র্যাংকিংয়ের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভন্যান্স ইনোভেশান ইউনিট (জিআইইউ)-এর আওতায় এই বৃত্তির জন্যে আবেদন করতে হয়।
সকল খাতে সম্পদের সক্ষমতা উন্নয়ন ঘটাতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এই পিএমএফ চালু করেন। জিআইইউকে পিএমএফ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও নন-বিসিএস এবং বেসরকারি প্রার্থী – এই তিন ভাগে বৃত্তিটি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া ফেলোগণ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিআইইউ’র মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল লতিফ।
মাস্টার্স ও পিএইচডি ফেলোদের পক্ষে যথাক্রমে – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিবলী ইসলাম ও গণস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী আফিফা আনজু তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন পিএইচডি ফেলো, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব ড. কেএম আলমগীর কবির তাঁর অনুভূতির কথা জানান।