শহীদজায়া পান্না কায়সারের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। ওয়াহিদ তারেকের পরিচালনায় এতে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা সিনহা মিম এবং শহীদুল্লা কায়সার চরিত্রে মোস্তফা মনওয়ার। সম্প্রতি থেকে শুরু হয়েছে এর শুটিং। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
শমী কায়সারকে আবার চলচ্চিত্রাঙ্গনে দেখা যাবে; অবশ্য, অভিনেত্রী নয়, প্রযোজক হিসেবে। তিনি সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’-এর মাধ্যমে ফিরছেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানপ্রাপ্ত ছবি ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক।
জানা গেছে, ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ছবির মাধ্যমে পান্না কায়সারের দৃষ্টিকোণ থেকে শহীদুল্লা কায়সারকে আবিষ্কার করা হবে। ঢাকায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই ছবির শুটিং।
ছবিতে শহীদুল্লা কায়সার ও পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন মোস্তফা মন্ওয়ার ও বিদ্যা সিনহা মিম। অভিনয়শিল্পী নির্বাচনেই অনেক সময় লেগেছে বলে জানান শমী কায়সার। তিনি বলেন, ‘পান্না কায়সার চরিত্রে মিম এসেছে, অনেক খুশি হয়েছি। শহীদুল্লা কায়সারের চরিত্রে মন্ওয়ারকে খুঁজে পেতেও আমাদের অনেক সময় লেগেছে। আমার মনে হয়, ভালো কাস্টিং হয়েছে।’
এই ছবিতে অভিনয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত মিম। তিনি জানান, ‘শমী আপু ফোন করলেন। গল্পটা শোনালেন। তাঁর মায়ের চরিত্রে আমি ছাড়া কাউকে দেখছেন না শুনে আমি তো অবাক! যে-শমী আপুকে ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি, যাঁর অভিনয় প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করেছে, ব্যক্তিত্বে অনুপ্রাণিত হয়েছি, সেই শমী কায়সারের মায়ের চরিত্র! চোখ বন্ধ করেই হ্যাঁ বলে দিয়েছি।’
তিন দশকের অভিনয়জীবনে নানা চরিত্রে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন শমী কায়সার। নাটক ও চলচ্চিত্রের অনেক পরিচালকের সঙ্গেও রয়েছে কাজের অভিজ্ঞতা। বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ-সংক্রান্ত কাজেও জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ অগাস্ট সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পান্না কায়সার। তিনি একাধারে ছিলেন একজন লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের এক সোনালি সন্ধ্যায় প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে সংসার শুরু করেন তিনি। তবে, তাঁদের সুখের সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী শহীদুল্লা কায়সারকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আর ফিরে আসেননি।