সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ অগাস্ট) মোহাম্মাদপুরস্থ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুল হক (অব.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়াম্যান ড. এম এম এনামুল আজিজ, সিএসই বিভাগের প্রধান সাদিক ইকবাল ও আইন বিভাগের প্রধান দেওয়ান মোহাম্মদ আল আমিন প্রমুখ অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন – ‘স্বাধীনতা’, যা বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন নেতৃত্বেরই অবদান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অবিংসংবাদিত, বুদ্ধিদীপ্ত ও আদর্শিক নেতা। ১৯৭৫ এর যে-নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল – তা কোনো ব্যক্তি নয়, বরং একটি রাষ্ট্রকে হত্যা করার চেষ্টা ছিল। তাঁরা বলেন, একটি জাতিকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি চেয়েছিলেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, বরং মানবিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্দীপ্ত হয়ে এ-জাতি যেন দেশ গড়ায় সক্রিয় হতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে বিইউ’র রেজিস্ট্রার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুল হক (অব.) শোকাবহ ১৫ অগাস্টের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জীবনীগ্রন্থথেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলেই বাংলাদেশ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি ছাত্রছাত্রীদেরকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান।
এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তানজেরী জাহান এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মাহমুদ সেজান, ইমাম হাসানুল বান্না ও সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান শেখ আলাউদ্দিন। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি