ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ জাতির অন্ধকার সময়ের সাক্ষ্য ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের সময় পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন। এ-সময় তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে তিনি লেখেন, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যিনি তাঁর জাতির স্বাধীনতা, ভাষা, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। পরিদর্শন বইয়ে তিনি আরও লেখেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকে আরও যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে ফ্রান্সের জনগণের বন্ধুত্বে কথা স্মরণ করছি। এ-সময় এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার বিভিন্ন চিত্র দেখেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা এবং তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ম্যাখোঁকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের অন্ধকার সময়ের কথা জানান, যেখানে জাতির জনককে তাঁর পরিবারের ১৯ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। তাঁরা শেখ মুজিবের বর্ণাঢ্য জীবনের ইতিহাসও ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জানান; যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের বালক থেকে জাতির নেতা হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়। তিনিই পরবর্তীতে ভাষা, স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অনাড়ম্বর জীবনযাপন ও হত্যাকাণ্ডের ভয়াল ছবি দেখে দর্শনার্থীদের চোখে মুখে বিষণন্নতা নেমে আসে।
এ-সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হলোগ্রামও পরিদর্শন করেন।
চার দশক আগে মধ্যরাতের সেই হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যে-হত্যাকাণ্ড থেকে দশ বছর বয়সী শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি খুনিরা। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ সে-সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।