বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও চামড়া খাতে দু’টি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির প্রকল্পগুলোর শিরোনাম হলো – ‘সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ও সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকা (সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড) সমন্বিত ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘ট্যানারিগুলোতে ভালো কাজের পরিবেশ (জিওটিএএন)’। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)’র সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে জার্মান সরকারের পক্ষে জিআইজেড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়েছে।
‘সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ও সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকা (সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড)-এর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’র জন্য চার মিলিয়ন ইউরো-সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২৫ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৎস্য বিভাগ (ডিওএফ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সরকার ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর সারফেস এলাকা নিয়ে এসওএনজি’কে দেশের প্রথম মেরিন সুরক্ষা এলাকা হিসেবে মনোনীত করেছে। মূলত: বিস্তৃত ‘নীল সুন্দরবন’ এলাকাকে সহায়তার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে চলমান প্রকল্পে চাহিদাভিত্তিতে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মূল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো – সমন্বয় প্রক্রিয়া উন্নত করা, সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং টেকসই ব্যবহার; সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা এবং বিএফডি’র ক্ষমতা জোরদার করা।
‘ট্যানারিগুলোতে ভালো কাজের পরিবেশ (জিওটিএএন)’ প্রকল্পটিতে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট চার মিলিয়ন ইউরো তহবিল সহায়তা-প্রদান করা হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ (ডিআইএফই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।