লিওনেল মেসি চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন; তবে ফেরাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। টরন্টোর বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের আঘাতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তাঁকে প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয়। মেসির আগে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন তাঁর আরেক সতীর্থ জর্দি আল্বা-ও। ইন্টার মায়ামি অবশ্য সহজ জয় পেয়েছে; টরন্টোকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে দলটি। মেসির দল আগামী রোববার লিগে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে মাঠে নামবে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর মায়ামিকে খেলতে হবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে। এরপর ৭ অক্টোবরের মধ্যে আছে আরও তিনটি লিগ ম্যাচ।
ইন্টার মায়ামি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠ ড্রাইভ পিঙ্ক স্টেডিয়ামে (২০ সেপ্টেম্বর) টরন্টো এফসিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। ম্যাচে দুই গোল করেছেন রবার্ট টেইলর। একটি করে গোল করেন ফাকুন্ডো ফারিয়াস ও বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় আরও এক ধাপ উপরে উঠলো দলটি।
লিওনেল মেসি আন্তর্জাতিক বিরতি ও ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচে মায়ামির শুরুর একাদশে ছিলেন। তবে তাঁর দিনটি ভালো যায়নি। ৩৮তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা। এদিন শুধু মেসি নন, মাঠ ছাড়তে হয়েছে জর্ডি আল্বাকেও।
তাঁদেরকে ছাড়া মায়ামি এগিয়ে যায় প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে; গোলটি করেন ফাকুন্ডো ফারিয়াস। ৫৪তম মিনিটে মায়ামির ব্যবধান দ্বিগুণ রবার্ট টেইলর। ৭৩তম মিনিটে মায়ামির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি। ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন টেইলর।
এই জয়ে ইন্টার মায়ামি প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইলো। মেসি যোগ দেওয়ার সময় এমএলএস-এর ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে (১৫ নম্বর) ছিল মায়ামি। এই জয়ের ফলে ত্রয়োদশ স্থানে চলে এসেছে দলটি। মায়ামিকে প্লে-অফে খেলতে হলে অন্তত নবম স্থানে থাকতে হবে। ডেভিড ব্যাকহামের দলটি মেজর লিগ সকারে এর আগের ম্যাচে আটলান্টার বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে ছাড়া খেলে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল।