প্রতীকী ছবি
রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভারসহ পোশাক শিল্পঅধ্যুষিত সব এলাকায় বর্তমানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন – বিজিএমইএ। এমতাবস্থায় আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা বুধবার (১৫ নভেম্বর) খুলে দেওয়া হয়েছে এবং শিল্প এলাকাগুলোয় শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
পোশাক শিল্পের বর্তমান শ্রম-পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানান, পোশাক কারখানাগুলোতে এখন পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। এদিন কোনো কারখানায় শ্রমিক-অসন্তোষের ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের কাজে ফেরার আগ্রহের প্রেক্ষিতে আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা সুষ্ঠুভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কারখানাগুলোতে এখন স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পোশাক মালিকদের সংগঠনটি আরো জানিয়েছে, মিরপুরের বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার আলোচনা হয়েছে। দু’দিনের আলোচনায় শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ জানিয়েছে যে, মিরপুরের বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কাজে ফিরতে চান। তাই, বৃহস্পতিবার মিরপুরের এবং অন্যান্য সকল স্থানের বন্ধ হওয়া পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার পোশাক-শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম নতুন মজুরি ১২,৫০০ টাকা ঘোষণা করেছে। শ্রমিকরা মজুরি আরও বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারখানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে আশুলিয়া, মিরপুরসহ আরও কিছু জায়গায় একাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিকরা।
ফারুক হাসান বিবৃতিতে জানান, কারখানা মালিকরা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি পোশাক কারখানাসহ সকল ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তবে, জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কোনো শ্রমিক বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন – সে-বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
