রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাহিম ডিয়াজ জুড বেলিংহামের অনুপস্থিতির সুযোগটা ভালোই কাজে লাগালেন। তিনি চোখধাঁধানো এক গোল করে দলকে আর বি লাইপজিগের মাঠে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মহামূল্যবান এক জয় এনে দিয়েছেন। রেড বুল অ্যারেনায় ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষােলোর প্রথম লেগে রিয়ালের জয়টি এসেছে ডিয়াজের এক গোলেই। রিয়ালের এই জয়ে বড় ধরনের কৃতিত্ব রয়েছে গোলরক্ষক অ্যানড্রি লুনিনেরও; তিনি এদিন নয়টি গোল সেইভ করেছেন। লুনিন ২০০৩-০৪ সালের পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে নয়টি গোল বাঁচালেন। এর আগে, থিবো কোর্টোয়া ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে নয়টি সেইভ করেছিলেন।
স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ গত মৌসুমে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আর বি লাইপজিগের মাঠে পরাজিত হয়েছিল। যাহােক, এবার স্বাগতিক দলটি তেমন কিছু করতে পারেনি। ‘লস ব্লাঙ্কোস’ প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জার্মানি থেকে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে। ব্রাহিম ডিয়াজ এদিন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন। প্রতিপক্ষের মাঠে এই জয়ে রিয়াল কোয়ার্টার-ফাইনালে উত্তরণের পথে এগিয়ে রইলো।
রেড বুল অ্যারেনায় স্বাগতিক দল শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলে গোলের সুযোগ তৈরিও করেছিল; কিন্তু রিয়ালের রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি। পক্ষান্তরে, রিয়ালও প্রথমার্ধে পারেনি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে।
যাহােক, অতিথি দল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায়; ব্রাহিম ডিয়াজ দারুণ দক্ষতায় দেখিয়ে শৈল্পিক এক গোল করেন। স্প্যানিশ এই ফুটবলার প্রতিপক্ষের তিন-চারজনকে কাটিয়ে বক্সের সামনে এসে জাল স্পর্শ করেন।
ডিয়াজ আঘাতের কারণে জুড বেলিংহামের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে সেটি দারুণভাবে কাজে লাগালেন।
লাইপজিগ পিছিয়ে পড়ে রিয়ালের রক্ষণভাগে একাধিকবার হানা দিয়েছে। তবে, এদিন গোলপোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে ছিলেন গোলরক্ষক অ্যানড্রি লুনিন। লাইপজিগের সবগুলো আক্রমণ নস্যাৎ হয়ে যায় ইউক্রেনের এই গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে।
সুযোগ অবশ্য এসেছিল রিয়ালের সামনেও। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি প্রচেষ্টা সাইডপোস্টে লেগে ফিরে এলে ব্যবধান বাড়েনি।
শেষ পর্যন্ত এক গোল ধরে রেখেই জয় নিশ্চিত করে রিয়াল।
দুই দলের ফিরতি ম্যাচটি আগামী ৬ মার্চ রিয়ালের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাবিউতে হবে।