loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সোমবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ; প্রাথমিক খোলা

  • আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

  • এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা ১১ মে’র মধ্যে

  • কৃষিখাতের ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড

  • স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াডের গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলাল আর নেই


প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলাল আর নেই

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব প্রখ্যাত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল  করিম হেলাল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১০ মার্চ) রাত আটটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইহসানুল করিম হেলাল বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ইহসানুল করিম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় তকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন। 

ইহসানুল করিম কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এ, নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে বাসস-এর ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি, পিটিআই এবং ভারতের দ্য স্টেটমেন্ট ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। বাসস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পরে তিনি ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পরে একই বছরের ২০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার-তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।

সোমবার বাদযোহর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর নামাজে জানাজা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অফ অনার প্রদান করা হবে। 

ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা পৃথক শোক বার্তায় ইহসানুল করিমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি,ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)  পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মরতুজা আহমদ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

Loading...