বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ট্রাম্পের নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছে। রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার (৬ নভেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় যাবে।’
শফিকুল আলম জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইতোমধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে। তবে জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে এই সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রায় এসেছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র চায় – পৃথিবীর সকল দেশে গণতন্ত্র থাকুক, সবাই গণতন্ত্রের চর্চা করুক। গত ১৫-১৬ বছর বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় ছিল; সেই জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো – গণতান্ত্রিক উত্তোরণ ঘটানো। সেই কারণে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখন কাজ করা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণতন্ত্র উত্তরণে কাজ করছে। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র উত্তরণের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে-সাথে ট্রাম্পও চাইবেন – সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটুক। তাই আমরা আশা করছি – ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান – উভয় দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই দুই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।