স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরা, সাবান-পানিতে হাত ধোয়াসহ সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো –
১. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার করা।
২. হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ও কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না-ধরা।
৭. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
তাঁরা আরও বলেছে, বহু দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। তাই সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও পয়েন্টস অফ এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এইচএমপিভি প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।