loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

  • টেকসই কৃষি নিয়ে ১০ হাজার চর কৃষকের পাশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ফ্রেন্ডশিপ

  • কর্মবিরতি প্রত্যাহার, সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু

  • গুম ও হত্যার নির্দেশ দিতেন হাসিনা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন

  • স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাত কলেজ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ার ওপর ইউনূসের গুরুত্বারোপ


অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ার ওপর ইউনূসের গুরুত্বারোপ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন – সেই প্রক্রিয়া সৃষ্টি করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক বৈঠকে এ-কথা বলেন। ক্লাউস শোয়াব সুইটজাল্যান্ডের দাভোসে ডব্লিউইএফ-এর বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এই বৈঠক করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধান উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল।

তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যাঁরা নতুন ভোটার হয়েছেন – তাঁদের ভোট দেওয়ার সুযোগই হয়নি; যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায় – সেটি না-জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে-না। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে – প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তাঁরা কি ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, না-কি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার চাইবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ-বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না – আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।’

বর্তমান প্রজন্মকে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার কারণে তাঁরা এখন আর শুধু বাংলাদেশি তরুণ নয়, বরং সারাবিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রজন্ম পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না, তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সকল রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।

তিনি আরও জানান, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গতি ফিরেছে।

ক্লাউস শোয়াব মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে মুগ্ধ হন এবং তিনি আধাঘণ্টার আলাপচারিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

Loading...