জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, নতুন করে কর-অব্যাহতির কথা কেউ বলবেন-না। আমরা চাই, যতটুকু আছে – তা-ও কমিয়ে আনা; ধীরে ধীরে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা আর কর-ব্যয় বহন করতে চাই-না। কর-অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় এসেছে।’ এনবিআর প্রধান তাঁর কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রাক-বাজেট সভায় এসব কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি), ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অফ বাংলাদেশ (আইসিএসবি), বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএলএ), বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম এবং অবসরপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয়-না, কর তো আয়ের ওপর, ব্যয়ের ওপর নয়। তাহলে দিতে সমস্যা কোথায়।’
ব্যবসা শুরু করার আগে কর-ছাড় চাওয়ার মানসিকতার সমালোচনা করে রাজস্ব বোর্ডের প্রধান বলেন, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত কর-ছাড়ের চেয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ভৌগোলিক সুবিধা এবং সম্ভাব্য আয়ের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘আয়কর নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কর-ছাড় দেওয়া হলেই শিল্প প্রতিষ্ঠা করা উচিত – এই ধারণাটি ভূল।
বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে আবদুর রহমান খান বলেন, কর আদায় নিশ্চিত করার জন্য চুক্তিতে কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। যদি পরিবর্তন না-করা হয়, তাহলে আমরা কর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত থাকবো। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত যে – কর প্রদান ঠিকাদারদের দায়িত্ব।
কর-ফাঁকি রোধকল্পে চুক্তিগুলো সতর্কতার সাথে যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, এই খাতে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন।