loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

চলে গেলেন বরেণ্য নাট্যকার মান্নান হীরা


চলে গেলেন বরেণ্য নাট্যকার মান্নান হীরা

বরেণ্য নাট্যকার, বাংলাদেশের পথনাটকের অন্যতম পুরোধা নাট্যজন মান্নান হীরা আর নেই। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ-বিষয়ে জানিয়েছেন।

মান্নান হীরার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মান্নান হীরার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

মান্নান হীরা দীর্ঘদিন পথনাটকের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি ও আরণ্যক নাট্যদলের অধিকর্তা ছিলেন।

মান্নান হীরার নাট্যরচনার প্রধান উপাদান – নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। বিশেষ করে তাঁর পথনাটক বিশাল কৃষিজীবী মানুষ এবং তাঁদের উৎপাদন ও উপকরণ কেন্দ্র করে লেখা। তাঁর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে – ‘লাল জমিন, ‘ভাগের মানুষ, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘গিরগিটি’, ‘সাদা-কালো’ ইত্যাদি। ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ মান্নান হীরা রচিত ও নির্দেশিত অন্যতম পথনাটক।

মান্নান হীরার পথনাটক ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে নিয়মিতভাবে অভিনীত হয়ে থাকে। একইসঙ্গে তাঁর একাধিক নাটক অনূদিত হয়ে দিল্লি, হংকং, পাকিস্তান, নেপালসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়ে আসছে।

২০১৪ সালে তিনি সরকারের অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। এটি মান্নান হীরা পরিচালিত একমাত্র চলচ্চিত্র। এর বাইরে ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙ পেন্সিল’ নামে দু’টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন তিনি।

২০০৬ সালে তিনি নাটক বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মান্নান হীরার মরদেহ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর সেগুনবাগিচা মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে সিরাজগঞ্জ নেওয়া হবে। সেখানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।

Loading...