সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এবার পৌষেই হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা নেমেছে। প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রা। বিশেষত উত্তরাঞ্চলে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা।
শীতের পাশাপাশি রয়েছে ঘন কুয়াশা। বিশেষ করে উত্তর দিক থেকে আসা শীতল বাতাস আর হুল ফুটানো ঠাণ্ডা দেশের উত্তরাঞ্চলে আগেভাগে শুরু হওয়ার পর এখন ধেয়ে আসছে রাজধানী ঢাকাসহ মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। দেশের প্রায় সব জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) শীতলতম দিন ছিলো যশোরে। সেখানে তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জোরেশোরে শীতল বাতাস বইতে শুরু করায় ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা করুণ।
বিভিন্ন স্থানে খড়-কাঠে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরমের চেষ্টা করছেন দরিদ্ররা। বিশেষ করে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল অবস্থা উত্তরের জেলাগুলোর ছিন্নমূল মানুষের। সেখানে বর্তমানে দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই আকাশ থাকে মেঘ ও কুয়াশাচ্ছন্ন। বিকাল থেকে পরদিন আধাবেলা পর্যন্ত থাকছে দাপুটে শীত।
কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। পাশাপাশি ট্রেনগুলো অত্যন্ত ধীরগতিতে চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বেরুচ্ছেন না। দিনের বেলায় সূর্য কিছু সময়ের জন্য দেখা গেলেও তা যেন মোটেও উত্তাপ ছড়াতে পারছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসে একটি মাঝারি অথবা তীব্র এবং দুই থেকে তিনটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গত কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনায় বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন।
