loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর!


শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর!

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার যুগোপযোগী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, সময়োপযোগী শিক্ষাই ছেলে-মেয়েদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি হচ্ছে শিল্প-যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা । ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ-উপযোগি শিক্ষা পদ্ধতি অপরিহার্য। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটাল করতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।

মন্ত্রী গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এলজিইডি মিলনায়তনে দেশের অন্যতম প্রধান সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান বিজয়-নেটিজেন আইটি লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,পুঁজির ওপর নির্ভর করে সমাজ-সভ্যতার বিকাশ হয়েছে। এখন সমাজ-সভ্যতার বিকাশের হাতিয়ার হবে মেধা । বাংলাদেশের মেধাবীর সংখ্যা বেশি। আমাদের তরুণদের সফটওয়্যার এখন জাপান ও আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তিনি বলেন হ্যানরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানেই উন্নত বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, তিন লক্ষ শিশুকে প্রোগ্রামিং শিক্ষা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ-লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। স্কুলের শিশুদের জন্য এ বিষয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় শিশুদের সফটওয়্যার তৈরির জন্য নেটিজেন-এর ভূমিকা তুলে ধরেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ডিজিটাল লেনদেনে প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, বিকাশকে বাংলাদেশে সফলতার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। শিশুদের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, চক ডাস্টার দিয়ে পড়ানো যায় না । ১৯৯৭ সালের অভিজ্ঞতা ১৯৯৯ সাল থেকে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ সালে সফলতা এসেছে। অনুষ্ঠানে নেটিজেন এবং বিকাশের মধ্যে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পরে বিজয় শিশু শিক্ষার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণের উদ্বোধন করা হয়। কেক কেটে এটি উদ্বোধন করেন বিজয়-এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই। এটি শিশুদের ডিজিটাল পাঠ্যক্রম যে-কোন স্মার্টফোন থেকে শিক্ষার্থীরা দেখতে পাবে।

অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিজয় নেটিজেনের সাত শতাধিক সহযোগী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. দেলওয়ার হোসেন, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আমরা কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফারহাদ আহমেদ।

Loading...