loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

চলে গেলেন সংগীত পরিচালক রুপু


চলে গেলেন সংগীত পরিচালক রুপু

বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী আকবর রুপু আর নেই। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা প্রায় ১২.৪০ মিনিটে সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

রুপু কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর হৃদরোগও হয়েছিলাে বলে জানা গেছে।  

রুপুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার কর্মস্থল টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের কার্যালয়ে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে রুপুর আবাসস্থল বড় মগবাজারের ডাক্তারের গলিতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আলী আকবর রুপুর সুর ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য গান জনপ্রিয় হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘একদিন কান্নার রোল পড়বে আমার বাড়িতে’, ‘যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে’, ‘দস্যু যেমন মুখোশ পরে প্রবেশ করে ঘরে’, ‘দরদিয়া’, ‘এ অনিশ্চয়তা’, ‘এ পশলা বৃষ্টি’। এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া ‘পদ্মপাতার পানি নয়’, শাকিলা শর্মার ‘তোমাকে দেখলেই মৌনতা ভুলে যাই’, সাবিনা ইয়াসমিন, কনক চাঁপা ও সামিনা চৌধুরীর ‘সব চাওয়া কাছে পাওয়া’, সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রতিটি শিশুর মুখ’, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ‘কবিতার মতো মেয়েটি, গল্পের মতো ছেলেটি’, ‘সামিনা চৌধুরীর ‘জানতে চেয়ো না কোন সে বেদনাতে’, দিনাত জাহান মুন্নীর ‘পুরোনো কাপড়ের মতো আমি আজ অবহেলিত’, মৌটুসীর ‘বারে বারে পোড়া বাঁশি এত রাতে আর ডেকো না’।

তিনটি টিভি চ্যানেলের উদ্বোধনী সংগীত তৈরি করেছেন তিনি। গানগুলো হলো একুশে টিভির ‘নব শতকের সম্ভাবনার দিনে’, এনটিভির ‘বাংলাদেশর বিজয়ের আলো জ্বেলে’ আর এটিএন বাংলার ‘দিনরাত এটিএন এশিয়া ইউরোপে’।

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে আলী আকবর রুপু প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন গানের সুর ও কম্পোজ করেছেন। ১৯৮২ সালের দিকে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডে কিছুদিন গিটার ও কি-বোর্ড বাজিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চারণ ছেড়ে দেন। তারপর ‘উইন্ডস’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন। অবশ্য তাঁর পরিচয় মূলত গীতিকার ও সুরকার হিসেবে। নিজ কণ্ঠে গেয়েছেন হাতে গোনা কয়েকটি গান। দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের প্রায় সবাই তাঁর সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

Loading...