loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

শেষ হলো সিটিও টেক সামিট


শেষ হলো সিটিও টেক সামিট

শেষ হলো ‘সিটিও টেক সামিট ২০১৮’। বাংলাদেশে সিটিও ফোরামের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। শনিবার (১২ মে) রাজধানীর সোবাহানবাগে অবস্থিত ড্যাফোডিল টাওয়ারের মিলনায়তন ৭১-এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান।

তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকারের একার পক্ষে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে বাধ্য। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের হাতিয়ার। তাঁদেরকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলেই আমরা নিদিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তি ভালো দিকের পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি খারাপ দিকগুলো কুফল সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিকে সবার নজর দিতে হবে। কীভাবে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ  গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার বড় হাতিয়ার হলো তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যত বৃদ্ধি পাবে দেশ ততই বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবে। আমাদের দক্ষ প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার শিখাতে হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী এই কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রযুক্তিবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়। প্রযুক্তি সর্বোচ্চ সুবিধা ব্যবহার করা হয় এই ক্যাম্পাসে। নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম মাহাবুবুল হক মজুমদারসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকারসহ সিটিও ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। 

দ্বিতীয় দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিলো ‘সাইবার কিসিউরিটি সচেতনতা অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ আয়োজন নিয়ে। এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রথম তিন জনকে চ্যাম্পিয়ান, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ জনকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এর আগে ‘সিটিও টেক সামিট ২০১৮’ এর শেষ দিনে ‘সাইবার সিকিউরিটি: থ্রেডস ভালনারেভেটিস অ্যান্ড কাউন্টার মেজার’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটি সাইবার ফোরামের কো-ফাউন্ডার ও সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য আজিম ইউ হক।

তিনি বলেন, সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় নিজেকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তাহলে এই সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। আমরা অনেকে না জেনে না বুঝে, নিজের অজান্তেই প্রযুক্তিগত অনেক ভুল করি। আমাদের কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে এমন অনেক সফটওয়ার ডাউনলোড করে ফেলি যারা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে যায়। হ্যাকাররা আমাদের সব তথ্য এই সফটওয়ারগুলো মাধ্যমে চুরি করে নিতে পারে।

দ্বিতীয় দিন দিনব্যাপী ‘ই-গভর্নমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক’; ‘চ্যালেঞ্জ অফ ই-কর্মাস ইন বাংলাদেশ’; ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইনোভেশন ইন বাংলাদেশ’; ডিসরাপট্রিভ টেকনোলজিস ইন পেমেন্ট সিস্টেম’; ‘সিকিউরিটি আইটি সলিউশন ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় প্রায় ৪০ জন বক্তা অংশগ্রহন করেন।

এর আগে শুক্রবার (১১ মে ) রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে উদ্বোধনী দুই দিনের এই সামিটের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী, বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আইটি ম্যানেজার মো. আরফে এলাহি মানিক প্রমুখ।

এবারের আয়োজনে ‘সিটিও এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ প্রদান করা হয়। এ-বছর সম্মানজনক এই পুরস্কার অর্জন করেছেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কাশেম।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি খাতেই প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। আর এই কাজটিকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা র্অথাৎ ব্যবসায়িক কাজে প্রযুক্তি প্রয়োগ ব্যবসায়িক উন্নয়ন বা সক্ষমতা বাড়ানোর কাজটির পূর্ণ তদারকিতে থাকেন একজন সিটিও।

একজন সিটিওকে প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তিতে নিজেদের অভ্যস্থতা, সাইবার জগতের সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিটিওদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি আর এর জন্য প্রয়োজন একটি প্লাটর্ফম। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এই প্লাটর্ফম তৈরির কাজটিই করে আসছে সফলতার সঙ্গে।

- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...