loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জিতলো সুইডেন


প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জিতলো সুইডেন

ফুটবল বিশ্বকাপের গত দুই আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সুইডেন। যাহোক, রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে ইউরোপীয় দলটি। সোমবার (১৮ জুন) বিশ্বকাপের ২১তম আসরের দ্বাদশ ও ‘এফ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেন আন্দ্রেস গ্রানকিভিস্টের একমাত্র গোলে হারিয়েছে ২০০২ সালে সেমিফাইনালিস্ট দক্ষিণ কোরিয়াকে।

রাশিয়ার নিজনি নভগোরোদে প্রথম ১৫ মিনিট বল দখলেই ঘাম ঝরিয়েছে দুইদল। সেখানে লড়াইয়ে কেউ কাউকে পেছনে ফেলতে পারেনি। তবে ২০ মিনিটে প্রথম ফ্রি-কিক পায় সুইডেন। স্ট্রাইকার ওলা টোইভোনেনের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়েছিলেন আক্রমনভাগের আরেক খেলোয়াড় মার্কোস বার্গ। কিন্তু বাঁ-পায়ের শটে দলকে গোলের স্বাদ দিতে পারেননি বার্গ। ফলে সে-যাত্রায় বেঁচে যায় দক্ষিণ কোরিয়া।

এক মিনিট পর আবারো মধ্য মাঠ থেকে আক্রমণ করে সুইডেন। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় লুডউইগ আগাসটিনসনের ক্রস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স থেকেই হেড নিয়েছিলেন পনটাস জানসন। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

পরপর দু’টি আক্রমণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে মধ্যমাঠের দখল নিয়ে নেয় সুইডেন। ৪-৪-২ ফরম্যাটে মধ্যমাঠ দিয়ে আক্রমণ করেন তাঁরা। সেই সুবাদে ২৯ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পেরেও ব্যর্থ হন বার্গ।

এরমধ্যে দু’একটি পাল্টা আক্রমণও করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৩৭ মিনিটে মিডফিল্ডার কিং সুং ইউয়েং যোগান দেয়া বল ডান-প্রান্তে থাকা লি জায়ে সুং পেয়ে যান। সুইডেনের গোলপোস্টে তীব্র শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুইডিশ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সেই সুযোগ ভেস্তে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও দু’টি আক্রমণ করেছিলো সুইডেন। কিন্তু গোলের স্বাদ নিতে পারেননি তাঁরা। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করে সুইডেন। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় সুইডেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপদ সীমানায় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কিম মিন-উ অবৈধভাবে বাধা দেন সুইডেনের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ভিক্টর ক্লাসেনকে। এতে ভিডিও রেফারির সহায়তায় পেনাল্টি পায় সুইডিশরা। অবশ্য মাঠের রেফারি পেনাল্টি দেননি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ও অধিনায়ক আন্দ্রেস গ্রানকিভিস্ট। দেশের হয়ে ৭১ ম্যাচে সপ্তম গোল করলেন গ্রানকিভিস্ট।

গোল হজম করে জ্বলে উঠে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে থাকে সুইডেন। এই সুযোগে গোলের জন্য আরো মরিয়া হয়ে উঠে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিপক্ষের সীমানায় আক্রমণ করলেও তা থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি।

৮২ মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। স্ট্রাইকার সন হিউং মিনের পাসে সুইডেনের বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান লি সিউং উ। তাঁর বাঁ-পায়ের শটই গোলে প্রবেশ করতে দেননি সুইডেনের গোলরক্ষক রবিন ওলেসন।

শেষ পর্যন্ত এক গোলেই ম্যাচ জিতে নেয় সুইডেন। ১২ বছর পরে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রত্যাবর্তন জয় দিয়েই উদযাপন করলো সুইডেন। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডস ও ইতালির মত শক্তিশালী দল দু’টিকে হটিয়ে রাশিয়া ২০১৮ তে জায়গা করে নিয়েছিলো সুইডিশরা। তাই এ-ম্যাচটি তাঁদের স্মরণীয় হয়ে থাকারই কথা।

আগামী ২৩ জুন ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে সুইডেন। একই দিনে মেক্সিকোর বিপক্ষে লড়বে দক্ষিণ কোরিয়া।

Loading...