জরুরি প্রয়োজনে একদিনেই পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ‘সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিস’-এর আওতায় আগামী জানুয়ারি থেকেই এই সেবা চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আওতায় পাসপোর্ট নবায়ন এমনকি নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে এর জন্য দিতে হবে বাড়তি টাকা। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
জানা গেছে, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ সকালে আবেদন করলে সন্ধ্যার মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিস চালু করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে - এমন অবস্থা চিন্তা করে এটা করা হয়েছে।
মানবিক দিক বিবেচনা করে বর্তমানেও এক থেকে দুইদিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এখন এই সেবা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তবে যাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন নেই তাঁরা সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিসে পাসপোর্ট নিতে পারবেন না বলে জানা গেছে।
বর্তমানে দুইটি ক্যাটাগরিতে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে ৩,৪৫০ টাকা ফি দিয়ে পাসপোর্ট পেতে ন্যূনতম ২১ দিন সময় লাগে। আর এক্সপ্রেস সার্ভিসে দ্রুত পাসপোর্টের জন্য খরচ লাগে ৬,৯০০ টাকা। জানা গেছে, নতুন সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিস চালু হলে এর জন্য খরচ হবে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা।
এছাড়া, বর্তমানের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের পাশাপাশি ঘনঘন বিদেশ সফর করতে হয় এমন মানুষদের কথা চিন্তা করে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের। আর যারা পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তাঁদের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর হতে পারে।
গত ২১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটিক বর্ডার কনট্রোল সিস্টেম চালু করার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ইলেকট্রনিক মাইক্রোচিপযুক্ত এই পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে।
বর্তমানে যাঁরা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন নবায়নের সময় তাঁরা ই-পাসপোর্ট পাবেন। তবে মেয়াদ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত পুরনো পাসপোর্টই ব্যবহার করা যাবে।
