নেইমারের পরেই বিশ্বের সবেচেয়ে দামী ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পাওয়া এমবাপে কেন সেরা - তা তিনি আবারো প্রমাণ করলেন। ফ্রান্সের লিগে (লিগ ওয়ান) রােববার (৭ অক্টোবর) লিঁওর বিপক্ষে একাই চারটি গোল করেছেন তিনি। ফলে লিঁওকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
অবশ্য এদিন শুরুটা করেছিলেন নেইমারই। নয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। এই গোলেও অবদান ছিলো এমবাপের; তাঁকে ডিবক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
৩২ মিনিটে তানগুই এনডমবেলেকে ফাউল করলে লাল কার্ড দেখেন পিএসজি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। যদিও শুরুতে হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন, তবে পরে ভিএআর-এর সহায়তায় ফাউলের ভয়াবহতা দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এছাড়া বিরতির ঠিক আগে এমবাপেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন লিওঁর মিডফিল্ডার লুকাঁও।
৫২ মিনিটে দলের বিপদ ডেকে এনেছিলেন থিয়াগো সিলভা। ডি বক্স থেকে বল বাড়াতে গেলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বল প্রায় জালেই যাচ্ছিলো। তবে শেষ মুহূর্তে বারে লেগে ফিরে আসলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় পিএসজি। পরের মিনিটে অবশ্য ক্রসবার হতাশ করে নেইমারদের। এমবাপের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরে আসে। সে-সময় বাঁপাশে অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন নেইমার। পাস দিলে তখনই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো।
৬০ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এমবাপে। গোলরক্ষকের শরীরে বল মেরে সহজ সুযোগ মিস করেন এই ফরাসি। তবে এর পরের মিনিটেই গোল পান তিনি। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডিবক্সে বল নিয়ে গেলে ডিফেন্ডারের বাধায় বল হারান নেইমার। সেই বল পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান এমবাপে।
৬৬ মিনিটে ডিবক্সের জটলায় মার্কিনিয়োসের পাস থেকে আলতো টোকায় গোল করেন এমবাপে। এরপরে হ্যাটট্রিক করতে বেশি সময় নেননি তিনি। ৬৯ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে আরেকবার বল জালে জড়ান। ৭৪ মিনিটে নিজের চতুর্থ গোল করেন এমবাপে। ফলে ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
লিগ ওয়ান-এ নয় ম্যাচের সবকটিতে জয় তুলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিয়ল। তৃতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের পয়েন্ট ১৬।