“ঘরছাড়া এক সুখী ছেলে... চলে যাবে দূরে কোথাও... ঠিকানাগুলো ছিঁড়ে ফেলে...”
নিজের গাওয়া এই গানের কথাগুলোই সত্যি হলো বাংলাদেশের কিংবদন্তি গায়ক, গিটারবাদক, সুরকার ও গীতিকার আইয়ুব বাচ্চুর ক্ষেত্রে। তিনি চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। তবে তাঁর গানের সেই সুখী ছেলের মতো নয় - তিনি চলে গেছেন একরাশ দুঃখ আর অভিমান নিয়ে। অন্তত বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারগুলো সে-রকমই ইঙ্গিত দেয়।
বাচ্চুর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হয়েছে। চৈতন্যগলি কবরস্থানেই হলো এই শিল্পীর শেষ ঠিকানা। শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।
এর আগে জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাচ্চুর শেষ জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সেখানে নামে মানুষের ঢল। হাজারো মানুষ ছুটে আসেন প্রখ্যাত এই রকস্টারকে শ্রদ্ধা জানাতে। জানাজার আগে মসজিদের মাঠেই রাখা হয় বাচ্চুর মরদেহ। এ সময় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ অর্ঘ্য নিবেদন করেন তাঁদের প্রিয় শিল্পীর প্রতি।
শুক্রবার ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজা এবং সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে শনিবার সকালে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় তাঁকে। ইউএস বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিজ শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এলআরবি-প্রধানের মরদেহ। হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
গত ১৮ অক্টোবর সকালে ঢাকায় নিজ-বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন আইয়ুব বাচ্চু, ভক্তরা যাঁকে ডাকতেন “এবি”। তাঁর মৃত্যুতে সারাদেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। দেশের বাইরেও শোকে কাতর হন বাচ্চু-ভক্তরা।