loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নিউজিল্যান্ডও হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তানের কাছে


নিউজিল্যান্ডও হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তানের কাছে

প্রথমে অস্ট্রেলিয়া, তারপর নিউজিল্যান্ড। দুটি দলকেই টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তান দল। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (৪ নভেম্বর) স্পিনারদের ঘূর্ণিতে কিউইদের প্রায় উড়িয়েই দিয়েছে পাকিস্তান।

বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের অর্ধশত রানের উপর ভর করে এশিয়ার দেশটি ১৬৭ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড দলকে। এরপর স্পিন বোলাররা চেপে ধরেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ২৩ রানে শেষ আট উইকেট তুলে নিয়ে ৪৭ রানের দুর্দান্ত জয় পায় পাকিস্তান।

এই জয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও করল টি-টোয়েন্টিতে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা পাকিস্তান।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে সারফারাজ আহমেদ-বাহিনী। তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে। জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের অর্ধশত রান কিছুটা আশাবাদী করে তুললেও পাকিস্তানের স্পিনারদের সামনে নিউজিল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেননি। ১৬.৫ ওভারে ১১৯ রানেই অলআউট হয় ব্ল্যাক ক্যাপরা।

অবশ্য পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত ১১ রানেই ফেরেন ফখর জামান। ভাঙে পাকিস্তানের ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর বাবর ও হাফিজের ব্যাট ঝলসে ওঠে। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ৯৪ রানের জুটি। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ৫৮ বলে সাতটি চার ও দুইটি ছয়ে ৭৯ রান করে বাবর প্যাভিলয়নে ফেরেন। তবে হাফিজ থেকে যান শেষ বল পর্যন্ত। ৩৪ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। 

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ডি গ্র্যান্ডহোম সবচেয়ে দুইটি উইকেট নেন।

লক্ষ্য পূরণে নেমে মাত্র ১৩ রানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপসের ৮৩ রানের জুটি ব্যাট আশাবাদী করে তোলে। কিন্তু ১৩তম ওভারে শাদাব খান তাঁদের এই জুটি ভেঙে দেন। কেন উইলিয়ামসন ৩৮ বলে আটটি চার ও দুইটি ছয়ে ৬০ রান খেলে বিদায় নেন। দুই বল পর ফিলিপসও ২৬ রানে শাদাবের বলেই আউট হন।

এরপর উইকেটে দাড়াতেই পারেনি কিউইরা। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম ও ওয়াকাস।

এদিন ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাবর আজম। সিরিজে সেরা হন মোহাম্মদ হাফিজ।

প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলো যথাক্রমে দুই রান ও ছয় উইকেটে।

Loading...