loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বিপিএল: মুশির নৈপুণ্যে চিটাগাং ভাইকিংসের জয়


বিপিএল: মুশির নৈপুণ্যে চিটাগাং ভাইকিংসের জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, রোববার (১৩ জানুয়ারি), শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৮৪/৫ (২০ ওভার)  (তামিম ০, লুইস ৩৮* আহত-অবসর,  এনামুল ১০, ইমরুল ২৪,  ডসন ২, আফ্রিদি ২, সাইফুদ্দিন ২৬*,  পেরেরা ৭৪* ; ফ্রাইলিঙ্ক ১/৪৯, নাঈম ০/২০, জায়েদ ১/৪১, খালেদ ৩/৩৪, মোসাদ্দেক ০/১৩, ০/২৫)

চিটাগাং ভাইকিংস: ১৯.৪ ওভারে ১৮৬/৬  (শেহজাদ ৪৬, ডেলপোর্ট ১৩, ইয়াসির ৪, মুশফিক ৭৫, নাজিবুল্লাহ ১৩, মোসাদ্দেক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ৯ , নাঈম ১* ; হায়দার ০/৩০, মেহেদী ১/৩০, সাইফুদ্দিন ৩/৪৫, ডসন ০/৩৪ , আফ্রিদি ১/১৫)

ফলাফল: চিটাগাং ভাইকিংস ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: মুশফিকুর রহিম (চিটাগাং ভাইকিংস)

অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের চতুর্দশ ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ নিয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। রোববার ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগাং চার উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ফলে চার খেলায় তিনটি জয়ে ছয় পয়েন্ট পেলো চিটাগাং। সমানসংখ্যক ম্যাচে দুইটি করে জয় ও হারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পয়েন্ট এখন চার।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগাং। ব্যাট হাতে কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনার তামিম ইকবাল। দুই বল মোকাবেলা করে দক্ষিণ আফ্রিকার রবি ফ্রাইলিংকের শিকার হয়ে শূন্য রানে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি।

তামিমকে হারানার পর দলের সংগ্রহ বড় করার চেষ্টা করেন পরের তিন ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস, এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। লুইস ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আহত-অবসর নেন, আনামুল ১০ ও ইমরুল ২৪ রান করে ফেরেন। লুইসের ৩৪ বলের ইনিংসে ছয়টি চার ছিলো।

এরপর মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের লিয়াম ডসন ও পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি দুই রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। এই পর্যায়ে ৮৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে এই চাপকে আমলে না নিয়ে চিটাগাংয়ের বোলারদের উপর ব্যাট হাতে ঝড় ছোটান শ্রীলংকার পেরেরা। ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন তিনি। আটটি ছক্কা ও তিনটি চারে ২৬ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেন পেরেরা। তাঁর সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে।

ফ্রাইলিঙ্কের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে চারটি ছক্কা ও একটি চার ও দুই রানে মোট ৩০ রান নেন পেরেরা। এছাড়া ১৮তম ওভারে ১৮, ১৫তম ওভারে ২১ রান আসতে বড় অবদান রাখেন পেরেরা। চিটাগাংয়ের খালেদ আহমেদ তিনটি উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৮৫ রানের টার্গেটে শুরুটা চমৎকার ছিলো চিটাগাংয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে নিয়ে ৫৮ রানের সূচনা করেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ। এজন্য ৩২ বল মোকাবেলা করেন তাঁরা। তবে দলীয় স্কোর ৭০ রানে পৌছাতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগাং।

ডেলপোর্টের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় চিটাগাং। ১১ বলে ১৩ রান করেন ডেলপোর্ট। তিন নম্বরে চার রানের বেশি করতে পারেননি ইয়াসির আলি। ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৬ রান করেন শাহজাদ।

এরপর আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে মাত্র ১৩ রান অবদান রেখে সাজঘরে ফেরেন জাদরান। অবশ্য এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশি। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৪ রান দরকার পড়ে চিটাগাংয়ের।

১৬তম ওভারে ১১ রান, ১৭তম ওভারে ১৫ রান, ১৮তম ওভারে ১৮ রান তুলে নেন মুশফিক ও মোসাদ্দেক হোসেন। ফলে শেষ দু’ওভারে ২০ রান প্রয়োজন পড়ে চিটাগাংয়ের। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই কুমিল্লার পেসার সাইফউদ্দিনের বলে আউট হন মোসাদ্দেক। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন ফ্রাইলিঙ্ক। তবে রান তোলার কাজটা করেন মুশি-ই।

১৯তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা মারেন মুশফিক। কিন্তু ঐ ওভারের শেষ বলে আউট হন তিনি। শেষ ওভারে সাত রান দরকার ছিল চিটাগাংয়ের। ডসনের করা প্রথম তিন বল থেকে দুই রান নেন ক্রিজে থাকা ফ্রাইলিঙ্ক ও নাইম হাসান। চতুর্থ বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে চিটাগাংকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন ফ্রাইলিঙ্ক।

সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪১ বলে ৭৫ রান করেন মুশফিক। ফ্রাইলিঙ্ক ৯ ও নাইম ১ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার সাইফউদ্দিন ৪৫ রানে তিন উইকেট নেন। 

Loading...