loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সাকিব জ্বলে ওঠায় ঢাকার জয়


সাকিব জ্বলে ওঠায় ঢাকার জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ১৮ জানুয়ারি

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (লিটন ২৭, সাব্বির ১১, আফিফ ১৯, ওয়ার্নার ৬৩, কাপালি ০, পুরান ৬, জাকের ২৫, তাসকিন ১, লামিচানে ০*; রাসেল ১/২০, বার্চ ৩/৪২, সাকিব ২/৩৪, নারিন ১/৩২, আলিস ০/২, রুবেল ১/২৪)

ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৭ ওভারে ১৬৩/৪ (সাকিব ৬১*, রাসুলি ১৯, রাসেল ৪০*, মিজানুর ১, নারিন ২০, রনি ১৩; তাসকিন ১/৩২, ইরফান ২/৩৮, লামিচানে ১/২৭, আল-আমিন ০/৩০, কাপালি ০/৩১)

ফলাফল: ঢাকা ডায়মানাইটস ৬ উইকেটে জয়ী

প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ: সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়মানাইটস)

ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উইকেটে সেট হয়েও লম্বা হচ্ছিল না তাঁর ইনিংস। অবশেষে জ্বলে উঠলেন অধিনায়ক আর তাতেই ম্লান করে দিলেন প্রতিপক্ষ সিলেট সিক্সার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের অর্ধশত রান। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বিপিএল-এর চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

টসটা এদিন জিতেছিল সিলেট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানে করে দলটি। জবাবে শুরুতে সংগ্রাম করলেও অধিনায়ক সাকিবের ব্যাটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি ঢাকার। ১৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দলটি। ম্যাচ-সেরা সাকিব দুইটি উইকেট নেওয়ার পর খেলেন অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস। 

ছয় ম্যাচে এটা ঢাকার পঞ্চম জয়। অপরদিকে ছয় ম্যাচে সিলেটের চতুর্থ হার।

আগের ম্যাচের দারুণ জুটি দেখেই হয়তো এ-ম্যাচেও ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তবে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি। অবশ্য খুব একটা খারাপও করেননি তাঁরা। ৩৮ রানের সূচনা-জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে জুটি ভাঙতেই আউট দুই ওপেনার। ফলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিলেট।

অবশ্য তৃতীয় উইকেটে তরুণ আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে চাপ সামলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু জুটি ভাঙতেই আট রানের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারায় সিলেট। ফলে ৮৬ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে যায় দলটি।

ষষ্ঠ উইকেটে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলির সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সেই চাপও সামলে নেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। এরপর অধিনায়ক আউট হয়ে গেলে শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি আর কোনো ব্যাটসম্যান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিলেটকে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ৪৩ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন অধিনায়ক। ১৪ বলে ২৭ রান করেন লিটন। শেষ দিকে ১৮ বলে ২৫ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেন জাকের। ঢাকার পক্ষে ৪২ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ড্রু বার্চ। দুইটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় দলটি। এরপর দলীয় ৩৭ রানে হারায় আরও একটি উইকেট। ফলে ১৫৯ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে আফগানি তরুণ দারউইস রাসুলিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব। গড়েন ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি। মূলত এই জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা।

এরপর রাসুলি আউট হলেও জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকাকে। কেননা মাঠে নেমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ২১ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। সাকিবের সঙ্গে তাঁর অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটিতে সহজেই মিলে যায় দলের জয়। তবে ঢাকার ইনিংসের চালিকাশক্তি ছিলেন সাকিব। হার না মানা ৬১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৪১ বলের ইনিংসে পেয়েছেন আটটি চার ও দুইটি ছক্কা।

Loading...