loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সবার উন্নয়নে কাজ করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী


সবার উন্নয়নে কাজ করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের প্রদত্ত আস্থা ও বিশ্বাসের মুল্য দিয়ে তাঁর সরকার দলমত নির্বিশেষে সকলের উন্নয়নেই কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি এইটুকুই তাঁদের বলতে চাই - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় ভোট পেয়ে জয় পেয়েছে এটা সত্য। কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে এসেছে, যখন দায়িত্ব পেয়েছি তখন দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে যাবো।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল বিজয় সমাবেশে সভাপতির ভাষণে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

তাঁর সরকার প্রত্যেকের অধিকার নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রতেক্যের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমান নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি বলেন, “সেখানে কোনো দল বা মত দেখা হবে না। জনগণ, প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সেবা করার দায়িত্ব জনগণ আমাদের দিয়েছে। কাজেই যাঁরা ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেন নাই সকলের প্রতিই ধন্যবাদ জানিয়ে আমি এটুকু বলবো - আমরা সকলের তরে, সকলের জন্য আমরা কাজ করবো।”

সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি ও তোফায়েল আহমেদ এমপি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, মোহাম্মদ নাসিম এমপি বক্তৃতা করেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে সমাবেশে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন। এ-ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মীর্জা আজম এমপি, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আকম মোজাম্মেল হক, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি এবং শাহে আলম মুরাদ বক্তৃতা করেন।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সমাবেশটি পরিচালনা করেন।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এটাই প্রথম জনসভা ছিল আওয়ামী লীগের। ফলে জনতার উপচেপড়া ভিড় কাকরাইল মোড় হয়ে মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। পল্টন থেকে হাইকোর্ট কদম ফোয়ারা হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে টিএসসির মোড় ও সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নেতাকর্মীদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।

আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতকর্মীরা বেলা ১১টার পর থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নেচে-গেয়ে, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে উদ্যানমুখী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। অনেকে লাল-সবুজ পতাকা মাথায় দিয়েছেন, টি-শার্ট, ক্যাপও পরেছেন অনেকে।

দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন মমতাজ, ফাহমিদা নবী, সালমা ও জলের গান ব্যান্ডদল। সকাল থেকেই মাইকে দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া গান বাজানো হয়। মাঝে-মধ্যে কবিতাও আবৃত্তি করা হয়।

মুহুর্মুহু করতালি ও গগন বিদারী শ্লোগানের মধ্যদিয়ে দুপুর ৩টার কিছু সময় পরে মঞ্চে আসেন শেখ হাসিনা। এ-সময় আবারও সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ।

প্রধানমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বরের বিজয় সম্পর্কে বলেন, এই বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের বিজয় নয়, এই বিজয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির। এই বিজয় এদেশের আপামর জনগণের। কারণ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।

তিনি জনণনকে ভোট প্রদানের জন্য ও ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্রবাহিনী, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি এদেশের কৃষক, শ্রমিক,তাঁতী, কামার-কুমার জেলে, ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী, কৃষিবিদসহ সকল শ্রেণী-পেশার জনগণের প্রতি ভোট দিয়ে নৌকা মার্কা ও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

শিক্ষার আলো প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।

তিনি সারাদেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০৪১ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

Loading...