বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ২৮ জানুয়ারি, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২৩৭/৫, ২০ ওভার (লুইস ১০৯*, ইমরুল ৩৯, মাহমুদুল্লাহ ২/৩২)
খুলনা টাইটান্স: ১৫৭/১০, ১৮.৫ ওভার (টেইলর ৫০, জুনায়েদ ২৭, ওয়াহাব ৩/১৪, আফ্রিদি ৩/২৭)
ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮০ রানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: এভিন লুইস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান এভিন লুইসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ৩৩তম ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে ৮০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পাঁচটি চার ও ১০টি ছক্কায় মাত্র ৪৯ বলে অপরাজিত ১০৯ রান করেন কুমিল্লার লুইস। এই জয়ে নয় খেলায় ছয়টি জয় ও তিনটি হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো কুমিল্লা। ১১ খেলায় দুইটি জয় ও নয়টি হারে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই থাকলো খুলনা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে খুলনা। ইনিংসের শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রেখেছিলেন কুমিল্লার লুইস। উদ্বোধণী জুটিতে তাঁকে সঙ্গ দেন তামিম ইকবাল। ৪৪ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন লুইস ও তামিম। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৯ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন তামিম।
তামিমকে শিকারের পরের বলেই কুমিল্লার তিন নম্বরে নামা এনামুল হককেও শূন্য রানে বিদায় দেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুুদুল্লাহ রিয়াদ। ৫৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও লুইস ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের দিকেই যেতে থাকে কুমিল্লা।
৩১তম বলে নিজের অর্ধশত রান করেন লুইস। এরপর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তিনি। চার-ছক্কায় মুখরিত করে তোলেন স্টেডিয়াম। নিজের মুখোমুখি হওয়া ৪৭তম বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লুইস। শেষ পর্যন্ত পাঁচটি চার ও ১০টি ছক্কায় ৪৯ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এবারের আসরে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান করলেন লুইস। এখন পর্যন্ত সবগুলো সেঞ্চুরিই বিদেশি খেলোয়াড়দের।
লুইস ছাড়াও কুমিল্লার পক্ষে ইমরুল ২১ বলে ৩৯ ও শামসুর রহমান ১৫ বলে ২৮ রান করেন। ফলে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। খুলনার পক্ষে মাহমুদুল্লাহ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কালোর্স ব্রার্থওয়েট দুইটি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৩৮ রানের বড় লক্ষ্যে ভালোই শুরু করেছিলেন খুলনার দুই ওপেনার জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। মাত্র ৩৩ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। কিন্তু উদ্বোধণী ব্যাটসম্যানদের উড়ন্ত সূচনা পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা ধরে রাখতে পারেনি। অন্য ব্যাটসম্যানরা ছোট ছোট ইনিংস খেলে আউট হলে ১৮.৫ ওভারে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন টেইলর। তাঁর ৩৩ বলের ইনিংসে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা ছিলো। এছাড়া জুনায়েদ ২৭, ব্র্যাথওয়েট ২২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪ রান করেন। কুমিল্লার দুই পাকিস্তানি খেলোয়াড় ওয়াহাব রিয়াজ ও শহিদ আফ্রিদি তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন।
