সিলেট সিক্সার্স-এর বিপিএল মিশন শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। অন্যদিকে, পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে চিটাগং ভাইকিংস। শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার পর্বে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না চিটাগংয়ের সামনে। যাহােক, চিটাগং ভাইকিংসকে ২৯ রানে হারিয়েই বিপিএলের ষষ্ঠ আসর শেষ করলো সিলেট।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৪০তম ম্যাচে ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংয়ের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। অফ ফর্মে থাকা আশরাফুল দলে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম ওভারেই তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ডেলপোর্টকে ফেরান এবাদত হোসাইন। তিন রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চিটাগং। রান তোলার গতি কমে যায় দলটির।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে রান আসে মুশফিক-ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে। দলীয় ৪৩ রানে অলক কাপালির বলে জেসন রয়ের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ইয়াসির আলী।ব্যক্তিগত ২৫ রানে এবাদতের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মোসাদ্দেক। সিকান্দার রাজা দলীয় ৯৪ রানে বিদায় নিলে পঞ্চম উইকেট হারায় চিটাগং। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে মুশফিক রান আউট হলে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় চিটাগংয়ের। শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে অলআউট হয় চিটাগং।
সিলেটের এবাদত ১৭ রানে চার উইকেট পেয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন।
এর আগে ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের দায়িত্বশীল ইনিংস আর সাব্বির ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি সিলেটের। মাত্র ১৪ রানেই ওপেনার আফিফের (১) উইকেট হারায় দলটি। সিলেট ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আফিফকে ইয়াসির আলীর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান চিটাগংয়ের পেসার হার্দাস ভিলজোয়েন। এরপর জেসন রয়কেও ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই প্রোটিয়া তারকা।
মাত্র ৩৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেটের ইনিংস ঠিকঠাক করতে শুরু করেন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে ফ্লেচার ও সাব্বির রহমান। এই দুজন ৬৫ রান যোগ করেন। নাঈম হাসানের বলে বিদায় নেওয়ার আগে সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩২ রান।
সাব্বিরের বিদায়ে ক্রিজে আসা মোহাম্মদ নওয়াজ এসেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। মাত্র ১৯ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন নওয়াজ। মাঝে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে অর্ধশথ রান তুলে নেন ফ্লেচার। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে নওয়াজকে তুলে নেওয়ার পরের বলেই ৫৩ বলে ৬৬ রান করা ফ্লেচারকে বিদায় করেন ভিলজোয়েন।
বল হাতে এদিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভিলজোয়েন। চার ওভার বল করে ২৯ রানে চার উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। এক উইকেট গেছে নাঈমের ঝুলিতে।
