বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার (১১ মার্চ) বেলা দুপুর ২টায় শেষ হয়েছে। দুপুর ২টার পরেও শিক্ষার্থীরা ভোট প্রদানের জন্য দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করছিলো। বেলা ২টা পর্যন্ত সারিতে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের অনুমতি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সামগ্রিকভাবে নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। সোমবার দুইটি হল বাদে বাকি হলগুলোর ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ-কথা বলেন উপাচার্য। তিনি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করায়। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রের রীতিনীতি অনুসরণ করেই ভোট দিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কুয়েত মৈত্রী হল ও রোকেয়া হলে ব্যালটে সিলমারাসহ অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ ছিল। অন্য ১৬টি হলের ভোটগ্রহণ শেষ। মৈত্রী ও রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ চলেছে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত।
এদিকে, বিভিন্ন সংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসু নির্বাচন বর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এই নির্বাচন বাতিল করে পুন:তফসিল দাবি করেছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী প্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন। সে-সময় তিনি ডাকসু ও হল সংসদের পুন:নির্বাচনেরও দাবি জানান।
এছাড়া, অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।
জানা গেছে, ক্যাম্পাসজুড়ে থেমে থেমে চলছে বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। উপাচার্যের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে ভোট বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন বর্জনকারীরা। ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে বিপুল-সংখ্যক পুলিশ।