কিছুক্ষণ পরপর ফাউল, অশােভন আচরণ - তানজিয়ারে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আর্জেন্টিনা বনাম মরক্কোর ম্যাচের এটাই ছিল মূল চিত্র। প্রীতিম্যাচের প্রীতি ছাপিয়ে উত্তেজনাকর ও ঘটনাবহুল ছিল খেলাটি। যাহোক, এন্জেল কোরিয়ার গোলে প্রতিপক্ষের মাঠে মরক্কোকে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
এদিন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা, ফলে সুবিধা করতে পারেনি। ম্যাচে পরিষ্কারভাবেই ছিল স্বাগতিকদের আধিপত্য। বলের নিয়ন্ত্রণও ছিল তাঁদেরই বেশি। গোলের প্রথম সুযোগটাও পায় স্বাগতিকরাই। একাদশ মিনিটে বেলহান্ডার পাসে জোরালো শট নিতে পারলে গোল পেতে পারতেন খালিদ বোতায়িব।
২৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার রদ্রিগো দি পলকে ফাউল করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। প্রায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হন দুই দলের খেলোয়াড়রা। বোতায়িবকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন রেফারি। ৪২ মিনিটে আরও এক দফা দুই দলের খেলোয়াড়রা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এবার ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দলের দুইজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে। প্রথমার্ধে ২৫টিসহ ম্যাচে ফাউল হয়েছে মোট ৪৯টি।
দ্বিতীয়ার্ধেও পেশীশক্তি ব্যবহার করে খেলতে থাকেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে উত্তেজনা ছড়াতেও দেরি হয়নি। ৫৩ মিনিটে এমবার্ক বাউসফার একটি ফাউল করাকে কেন্দ্র করে আবারও প্রায় হাতাহাতি হয় দুই দলের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাউসফাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এরপর আর বড় কোনো ঘটনা না ঘটলেও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ছিল পেশীশক্তির ব্যবহার।
তবে খেলায় কোনো দলই ভালো আক্রমণ করতে পারেনি। ৭৯তম মিনিটে পাওলো দিবালাকে তুলে জিওভানি লো সেলসোকে নামান আর্জেন্টিনা কোচ। তাতে কিছুটা প্রাণ আসে অতিথিদের খেলায়। চার মিনিট পর গোলও পায় দলটি। ম্যাতিয়াস সুয়ারেজের পাস থেকে দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি খেলোয়াড় কোরিয়া।
এরপর গোল শোধের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি মরক্কো। ফলে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুইবার বিশ্বকাপ-জয়ী আর্জেন্টিনা।