loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি উন্মোচিত


প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি উন্মোচিত

প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ইভেন্ট হরাইজোন টেলিস্কোপ এস্ট্রোনোমার্স এই ছবি প্রকাশ করে। তাঁরাই এই ছবিটি তুলেছে। এর ফলে বিশ্ববাসী প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের প্রকৃত ছবি দেখতে পেলো। এ-পর্যন্ত যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোতে শিল্পীর কল্পনা ও কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল গ্রীনিচ মান সময় ১৩০০টায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞানীরা ছয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ করেছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

গত ৫০ বছর ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এএইচটি এই প্রথম সরাসরি ব্ল্যাক হোলের ছবি ধারণ করেছে। ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার এবং ব্ল্যাক হোলসহ মহাবিশ্বের সব শক্তির উৎস মানুষের চোখে দেখা ও জানা সম্ভব হয়নি। ব্ল্যাক হোল সরাসরি দেখার প্রাণান্তকর চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এর ছবি ধারণ সম্ভব হয়েছে।

ইউরোপিয়ান স্পেইস এজেন্সি ও ব্ল্যাক হোল সনাক্তকরণে এলআইএসএ’র (লেসার ইন্টারফেরোমিটার স্পেস এন্টেনা) প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট পল ম্যাকনামারা বলেছেন, ‘বহুবছর ধরে আমরা পরোক্ষভাবে বস্তুসমূহের পুঞ্জিভূত অবস্থার প্রমাণ পেয়েছি’ এলআইএসএ মিশন এখন মহাকাশের ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল শনাক্ত করবে।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের লিগো (এলআইজিও, লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল- ওয়েভ অবজারভেটরি) গভীর মহাকাশে দুইটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষ ও একীভূত হওয়ার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে।

ম্যাকনামারা বলেন, সরাসরি দেখতে না পেলেও একসঙ্গে রেডিও ওয়েভ, লাইট ও গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে, যদিও আমরা তা কখনোই সরাসরি দেখতে পাইনি।’ এই প্রথম আমাদের মিল্কি-ওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে প্রচন্ড উজ্জ্বল ও ঘণীভূত এলাকায় সরাসরি ব্ল্যাক হোল প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হয়েছে।

ব্ল্যাক হোলের চারদিকে ঘূর্ণায়মান বস্তুপুঞ্জের ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে চল্লিশ লাখ গুণ বেশি এবং এই বস্তুপুঞ্জ ২৪ মিলিয়ন কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে আছে। গ্যালাক্সির ওই কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ২৬ হাজার আলোকবর্ষ (২৪৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার)। পৃথিবীর টেলিস্কোপ থেকে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে ঘণিভূত বস্তুপুঞ্জের মাঝে ব্ল্যাক হোল ছবিতে হবে চাঁদের ওপর একটি গলফ বল।

ম্যাকনামারা বলেন, ব্ল্যাক হোলের সরাসরি ছবি তোলার মাধ্যমে আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের ধারণা প্রমাণিত হলো।

Loading...