loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বর্ষবরণ উদযাপনে নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি প্রস্তুত: কমিশনার


বর্ষবরণ উদযাপনে নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি প্রস্তুত: কমিশনার

আসছে নতুন বছর - বঙ্গাব্দ ১৪২৬। এবার নগরে কারও নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার - তার সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা ও সকলের সহযোগিতায় পুলিশ সকল অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিকেল ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। মূল অনুষ্ঠানস্থল রমনা ও সোহরাওয়ার্দী পার্কে বিকেল ৫টার পর প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এছাড়া, পহেলা বৈশাখের প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল থাকবে ধূমপানমুক্ত। ধূমপান করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, “বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপরেও যদি কেউ ইনডোরে অনুষ্ঠান করতে চান তাহলে বিধিনিষেধ নেই, সেসব স্থানে আমরা সাধ্যমতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। অনুষ্ঠানস্থলগুলো ধূমপানমুক্ত রাখতে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করবেন। শব্দদূষণ ও নারীদের উত্যক্তের মাধ্যম ভুভুজেলা এবারও নিষিদ্ধ থাকবে। ধূমপান করলে বা ভুভুজেলা ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এবার রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০০ মাইক স্থাপন করা হবে। মাইকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে যেকোন নির্দেশনা এবং তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

সকল অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য উদযাপন নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বড় উৎসবস্থলগুলোতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা-প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

রমনা পার্ক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে, সেখান থেকে সার্বক্ষণিক সবকিছু মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। পুরো এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করা হবে। রমনা-সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক এলাকা পুরোটা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান আছাদুজ্জামান।

রমনা পার্ক, হাতিরঝিল এলাকার জলাশয়ে নৌ টহল ও উদ্ধারকারী ডুবুরি দল প্রস্তুত থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রস্তুত থাকবে। বিপদ দেখা দিলে, সে-অনুযায়ী ইভাকুয়েশন প্ল্যান রয়েছে, বলেছেন কমিশনার।

ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ দল কাজ করবে। টহল ডিউটি, ফুট পেট্রোলিংয়ের সমন্বয়ে সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সকল দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি চেকিংয়ের পর অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে চিরাচরিত রুটেই যাবে। পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সামনে-পেছনে সোয়াট থাকবে এবং দুইপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। শোভাযাত্রায় যাঁরা অংশ নেবেন তাঁরা চারুকলা থেকেই তালিকাভুক্ত হয়ে অংশ নেবেন, পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। মুখোশ মুখে না পরে হাতে রাখা যাবে। যাঁরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ ও বিভিন্ন সামগ্রী বহন করবেন - চারুকলা থেকে তাঁদের একটি তালিকা পুলিশকে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “আমরা মানুষকে নিরাপদে রাখতে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে থাকি। এবারও এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নগরবাসী পুলিশকে সহযোগিতা করে চেকিংয়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। এজন্য তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করছি এবারও নাগরিকরা তল্লাশিতে পুলিশকে সহায়তা করবেন।”

Loading...