কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হবে। শোলাকিয়ায় ১৯২তম ঈদুল ফিতরের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে মাঠের সব প্রস্তুতি। দূরের মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি বিশেষ ট্রেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা বলয়ে প্রথম বারের মতো থাকছে স্নাইপার রাইফেল, ড্রোন ক্যামেরাসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।
কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বপাশে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ছয় একর জমির ওপর ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের অবস্থান। প্রায় আড়াই’শ বছরের পুরনো এই ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন শহরের হয়বত নগরের তৎকালীন জমিদার বাড়ির লোকজন।
শোলাকিয়া ঈদগাহে বড় জামাতে লাখো মুসল্লির সাথে ঈদের নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই প্রত্যাশায় প্রতি বছর ঈদের সময় এখানে ঢল নামে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির। অনেকে বংশ পরম্পরায় ঈদের নামাজ পড়ে আসছেন এই মাঠে। দূরের মুসল্লিদের অনেকে চলে আসেন ঈদের আগেই। ঈদগাহে লাইন টানা, দেয়ালে চুনকাম, ওজুখানা মেরামতসহ শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। ঈদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে দূরের মুসল্লিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে থাকা-খাওয়ার।
২০১৬ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে এবার নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি। নিরাপত্তার স্বার্থে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সাথে নিতে পারবেন না মুসল্লিরা।
এবারও তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদগাহের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের ৩২টি নিরাপত্তা চৌকি ছাড়াও ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে হবে । ঈদগাহ ও আশপাশের আকাশে নজরদারি করবে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা।