২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রাক-বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে লাওসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে কোচ জেমি ডে’র শিষ্যরা। এর আগে প্রথম লেগে লাওসের বিপক্ষে সে-দেশের মাটিতে ১-০ গোলের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পরবর্তী পর্বে উন্নীত হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই লাওসের ওপর আধিপত্য দেখায় স্বাগতিক দল। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে জামাল ভূঁইয়ারা।
অষ্টম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ; তবে তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। এরপর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। সবচেয়ে সহজ সুযোগটি আসে ২৪ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে ডি-বক্সের বাইরে ডান পাশে বল পেয়ে যান জীবন। এগিয়ে আসা লাওসের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল বের করে নেন। শট নিলেও তা গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৩৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে হেড দিয়ে গোলের আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন জীবন।
বিরতির পরেও আক্রমণের ধারা অব্যহত রাখে বাংলাদেশ। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ডান পাশ থেকে আক্রমণ থেকে বল পান ইব্রাহিম। ডান পায়ের ক্রসে বল পাঠান পেনাল্টি বক্সের দাঁড়িয়ে থাকা জীবনের কাছে। কিন্তু দুর্বল হেডের কারণে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
৮৮ মিনিটে সোহেল রানার ক্রস থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ইব্রাহিম। তাঁর হেডটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের বাকি সময় চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা না পেলে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসবে কাতারে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা এখনও স্বপ্নই হয়ে আছে। বলা যায়, ২০২২ সালে মূল পর্বে খেলার আশা করাটাও বাড়াবাড়ি। তবে বাছাই পর্বে নিজেদের উন্নতি প্রমাণের সুযোগ তৈরি হলো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার মাধ্যমে। এখান থেকেই বাছাইয়ের আসল লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে জামাল ভূঁইয়াদের।
এশিয়া অঞ্চলের চূড়ান্ত বাছাইপর্ব চারটি পর্বে বিভক্ত, সঙ্গে রয়েছে প্লে অফ। দীর্ঘ বাছাই শেষে ন্যুনতম চারটি ও সর্বোচ্চ পাঁচটি দল সুযোগ পায় এই অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ বিশ্বকাপে খেলতে হলে এশিয়ার সেরা চার কিংবা পাঁচ নম্বর দল হতে হবে বাংলাদেশকে। মোট ৪০ দল নিয়ে হবে দ্বিতীয় পর্বের লড়াই।