তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমোন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতের দ্রুত উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে ভ্রাতৃপ্রতীম এই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
প্রেসিডেন্ট এমোমালি গতরাতে তাঁর অফিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদকে স্বাগত জানান এবং সন্ত্রাস মোকাবেলা ও সমম্বিত অভিযানের ব্যাপারে একত্রে কাজ করার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ তাজিকিস্তানে কনফারেন্স অন ইন্টারএ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে সরকারি সফরে এখন দুশানবে নগরীতে রয়েছেন।
তাজিক প্রেসিডেন্ট তৈরি-পোশাক খাতকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে এই খাতে যৌথ-বিনিয়োগ করে একত্রে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিনকে উদ্ধৃত করে খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ-খবর জানিয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের কথা তুলে ধরে তাজিক প্রেসিডেন্ট উচ্চপর্যায়ের সফর-বিনিময়, বিশেষ করে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সফরের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি হামিদ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাজিকিস্তানের সহযোগিতা চান এবং তাজিক প্রেসিডেন্ট এ-ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে - এ-কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে তৈরি-পোশাক, ওষুধ, পাট ও পাটপণ্য আমদানির জন্য তাজিকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে আসছে। উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে।
হামিদ বলেন, উভয় দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিন্ন মতামত পোষণ করে এবং একে অপরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি গতরাতে (স্থানীয় সময়) দুশানবেতে পৌঁছান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তাজিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরোজিদ্দিন মুহরিদ্দিন, সেক্রেটারি বাইলেটারাল অ্যান্ড কনসুলার কামরুল আহসান, কূটনৈতিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তাজিক রাজধানী দুশানবে ও উজবেকিস্তানে সাতদিনের সফর শেষে আগামী ১৯ জুন রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশে ফেরার সময়সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
