কথাসাহিত্যিক ও দার্শনিক আহমদ ছফা (১৯৪৩-২০০১) বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি লেখক। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে অসাম্প্রদায়িক, মানবিকবোধসম্পন্ন দেশ, সৃজনশীল মানুষ ও সমাজ নির্মাণের দার্শনিকতা। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘আহমদ ছফা: মানবিক ও দার্শনিক চিন্তার অগ্রপুরুষ’ র্শীর্ষক সেমিনারে বক্তাগণ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গত রোববার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি অসীম সাহা। মূল আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। আলোচনায় অংশ নেন লোকসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার শিহাব শাহরিয়ার। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমদ।
অসীম সাহা আহমদ ছফার জীবন ও কর্মের ওপর নানা তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, তাঁর সমুদয় লেখায় দার্শনিকতা ও মানববোধ পরিষ্কার। তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি লেখক। তাঁকে বাংলাসাহিত্য থেকে কখনো আলাদা করা যাবে না।
তিনি বলেন, আহমদ ছফা একাধারে ওৌপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক। তাঁর লেখায় মানবিক-সমাজ নির্মাণে দার্শনিকতার প্রয়োগই বেশি। সাম্যবাদের আলোকে কি হবে সমাজের চেহারা - তা নিজের সব লেখায় উপস্থাপন করেছেন তিনি।
ড. বিশ্বজিৎ বলেন, বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত আহমদ ছফা। অসম্ভব শক্তিমান ও প্রতিভাবান লেখক। সবসময় স্বপ্ন দেখতেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। আলোকিত দেশগড়ার বিয়য়টি ছিল তাঁর লেখার মূলসুর। সে-লক্ষ্যে লেখালেখি করে সফল হয়েছেন তিনি।