loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরীতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ


উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরীতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জলাধার, ফসলী- জমি ও পরিবেশ রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোড এলাকায় সাতটি আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

শেখ হাসিনা বলেন, “একটি মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করে আমাদের জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে সুপরিকল্পিতভাবে উন্নতি ঘটাতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানসম্মত জীবনযাত্রা উপহার দেয়ার জন্য আমরা স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, আবাসন, কলকারখানা - যা-ই নির্মাণ করি না কেন, তা সুপরিকল্পিত উপায়ে সম্পন্ন করতে চাই। আমরা এলোমেলোভাবে কোনো নির্মাণ কাজের অনুমতি দিতে চাই না।”

দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন-পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যেকোনো পরিকল্পনা করার সময় আপনাদের জলাশয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে। কারণ, এগুলো পানির আধার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এগুলো পানি ধরে রাখে - যা জলাবদ্ধতা হ্রাসে সহায়তা করে।”

প্রয়োজনে সড়কগুলো যেন বাড়ানো যায় - সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করার জন্য শেখ হাসিনা স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ভবন নির্মাণে পুকুর, খাল ও জলাশয়ভরাট করার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ইতোমধ্যে জলাশয় রক্ষায় পরিকল্পনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।”

বিগত ১০ বছরে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল ও ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নগরগুলোকেই উন্নত করতে চাই না, বরং গ্রামেও সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।”

পরে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের গ্রেড-ওয়ান সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত তিনটি ভবনের মধ্যে আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ্ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রকল্পের একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

Loading...